বাংলাদেশে এখন অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এর মত পরিবেশ বিরাজমান নয়। রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে ঐক্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। সরকারের অনেক অর্জন থাকলেও সরকার রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আয়োজন করা গ্রহণযোগ্য নয়। গণশক্তি সভা কর্তৃক আয়োজিত জুলাই ঘোষণাপত্রে বঞ্চনা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমহাদেশের খ্যাতিমান কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,আমরা একটি রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী। আমাদের বিরুদ্ধে সব সময় ষড়যন্ত্র হবে এটাই স্বাভাবিক।ষড়যন্ত্রের বিপরীতে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অগ্রসর হতে হবে। জনগণের অভিপ্রায় আমাদের বুঝতে হবে। শালীনতা বজায় না রেখে যদি আমরা অশ্লীল তর্কে জড়িয়ে পড়ি সেটা হবে অনাকাঙ্ক্ষিত। জুলাই ঘোষণাপত্র দেয়ার আইনি বৈধতা এই সরকারের আছে কিনা। শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া সংবিধানের অধীনে কোন নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। আমলা কেনা বেচা করে নির্বাচনী বৈতরণী পার করার পুরনো কৌশল জনগণ মেনে নেবে না। সরকার বার বার জনগণকে প্রতারিত করে। গণ সার্বভৌমত্ব কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তরুণরাই আপনাদের মুক্তি দিয়েছে। তরুণদের বিরুদ্ধে দলকে আপনারা লেলিয়ে দেবেন না।
জাতীয় প্রেসক্লাব অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণশক্তি সভার সভাপতি সাংবাদিক সাদেক রহমান। প্রফেসর ড. দেওয়ান সাজ্জাদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. এটিএম জিয়াউল হাসান, গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, সাবেক সচিব কাসেম মাসুদ ,কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক ,লে. কর্নেল অব. ফেরদৌস আজিজ ,মেজর (অব.) রেজাউল হান্নান শাহীন,গণমুক্তি জোটের মহাসচিব আখতার হোসেন, ড. এ আর খান, ড. হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট লেখক গবেষক এমরান চৌধুরী,নতুন ধারা জনতার পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ নূর, লেখক, গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবু আহাদ আল মামুন, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার প্রমূখ।