কুড়িল থেকে গাউসিয়া সড়কে বিআরটিসি বাস চলাচল ও সেবা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যাত্রী ও শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ, নিয়মবহির্ভূত ভাড়া আদায় এবং প্রতিশ্রুত সেবা না দেওয়ার অভিযোগ ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা গত ৩ আগস্ট বিআরটিসি চেয়ারম্যান বরাবর ৮ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও ১৪ কর্মদিবস পার হলেও দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন আসেনি তারই পরিপ্রক্ষিতে সংগঠনটি ১৭ ই আগষ্ট রবিবার বিকেল ৪ ঘটিকায় কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায় এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। কর্মসূচিতে সাধারণ যাত্রী, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতারা সভায় বলেন, “নারী শিক্ষার্থী ও যাত্রীদের প্রতি অশোভন আচরণ, হয়রানি এবং ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অবহেলা আর সহ্য করা হবে না। বিআরটিসি আর্টিকুলার বাস গাজীপুর ডিপু ম্যানেজার খাইরুল হক উজ্জল এর স্বেচ্ছাচারিতাই ছাত্র/ ছাত্রী হয়রানীর মূল কারন বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। বক্তারা বলেন, বিআরটিসি ডিপো থেকে সকল কিছু নিয়ন্ত্রনন করা হয় এরই মধ্যে কুড়িল কাউন্টারে ছাত্র/ ছাত্রীদের জন্য মস্তুল পর্যন্ত ছাত্র হিসেবে হাফ ভাড়ার নির্দেশনা দিয়ে ব্যানার টানানো হয়েছে, এতে করে প্রায়ই লিজ পার্টি ও ছাত্র/ ছাত্রীদের মধ্যে মন মালিন্য ও বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হচ্ছে। পুরো ঘঠনাটাকে বিআরটিসি কতৃপক্ষ ঘোলাটে করতেছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান বক্তারা।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম হিমেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরাফাত শাওন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মাহিম চৌধুরী শুভ, সাধারণ শিক্ষার্থী জুবায়ের ইসলাম তুলন ও ইফতেখার ভূইয়া রিদ্বীনসহ অনেকে।