Crime News tv 24
ঢাকারবিবার , ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নাব্যতা হারিয়ে ঝালকাঠির খরশ্রোতা বাসন্ডা নদী খালে পরিনত হচ্ছে, খননের দাবী এলাকাবাসীর।

admin
অক্টোবর ২৬, ২০২৫ ৫:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

রিপোর্ট : ইমাম বিমান স্টাফ রিপোর্টার:-

ঝালকাঠির এক সময়ের খরশ্রোতা বাসন্ডা নদী নাব্যতা হারিয়ে  এখন খালে পরিনত হচ্ছে। সুগন্ধা নদীর তীর ঘেষা ঝালকাঠি শহরের পশ্চিমে সুগন্ধার শাখা এক সময়কার খরশ্রোতা বাসন্ডা নদী দিন দিন বিভিন্ন কারনে ভরাট হয়ে খালে পরিনত হচ্ছে। ঝালকাঠি জেলা শহর তথা ঝালকাঠি পৌরসভার দক্ষিনে সুগন্ধা নদী আর সেই সুগন্ধা নদী থেকে উত্তরে শহরের বুক চিরে শহরটিকে দ্বিখন্ডিত অর্থাৎ শহরটিকে দুটি অংশে বিভক্ত করেছে সুগন্ধার শাখা নদী বাসন্ডা নদী।

১৫.৭৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাসন্ডা নদী ঝালকাঠি থেকে শুরু হয়ে ঝালকাঠির উত্তর সীমান্তবর্তী বিনয়কাঠি ইউনিয়নের গগন বাজার পর্যন্ত বয়ে গেছে। আবার গগন বাজার হয়ে উত্তরে সীমান্তবর্তী জেলা বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া নদী ও পূর্বে বিনয়কাঠি ইউনিয়নের পাস দিয়ে বয়ে চলা কালিজিরা নদীর সাথে মিলিত হয়। গগন বাজার সংলগ্ন তিনটি নদীর মোহনা থেকে উত্তরে গুঠিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর বাজার পর্যন্ত ৭.০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সর্বমোট ২২.৭৮০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নদীটি নাব্যতা হারিয়ে খালে পরিনত হয়েছে।

৯০ দশকে যে নদী দিয়ে ঝালকাঠি-শিকাড়পুর রুটে লঞ্চ চলাচল করতো, সেই নদী আজ খালে পরিনত হয়েছে। প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নদীটি খনন না করায় এবং পলি ভরাটের ফলে নদীর নাব্যতা কমায় মাছের উৎপাদন হ্রাসসহ এই অঞ্চলের বসতবাড়ি, কৃষিজমি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এসব ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে নদী খননের দাবি জানিয়েছেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ও উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের মানুষ।

সরেজমিনে নদী তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বসন্ডা নদীর তীর ঘেসা ঝালকাঠি সদরের গগন, আশিয়ার, বালিঘোনা, মুড়াশাতা, নবগ্রাম, শিমুলিয়া, বেতরা গ্রাম সহ বিভিন্ন স্থানে জেগেছে বিশাল বিশাল চর। এসব চরের কারণে বর্ষায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা,বেরিবাধ প্রায় ৩ শ ফুটেরও অধিক ভাঙন দেখা দেয়। একদিকে ভাঙ্গনের মাটি অপরদিকে জমে থাকা পলির কারণে নদীর তলভাগ ভরাট হয়ে বাসন্ডা ও গুঠিয়া নদীর নাব্যতা হারাচ্ছে।

নদী তীরবর্তী এলাকার স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান, নদীতে অতিরিক্ত পলি জমার কারনে বাসন্ডা নদী ক্রমশই ভরাট হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে খনন না করায় বর্ষায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে আমরা বন্যার কবলে পড়ি। একদিকে বর্ষার সময় বন্যায় আমাদের কৃষি জমি ও ফসলের ক্ষতি হয় অপরদিকে শুকনা সিজনে খালের পানি শুকিয়ে গেলে ধান সহ বিভিন্ন রবিশস্য চাষাবাদে পানির সংকটে পড়তে হয়। এ ছাড়াও এই নদীতে একসময় ব্যাপক হারে দেশীয় মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে পলির কারণে নদীর তল ভরাট হয়ে মাছের উৎপাদন কমেছে। নদীর মাঝখানে পানি না থাকায় আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। নদী খননে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয় মুড়াসাতা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো: রুস্তম আলী মৃধা ( অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ) কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, নদীর নাব্যতা হারানো অন্যতম আরেকটি কারন হলো নদীর মাঝে গাছের ডাল, বাঁশ দিয়ে মাছ ধরার ফাঁদ ( ঝাউ আঞ্চলিক নাম)  তৈরি করায় দিন দিন নতুন নতুন চরের সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয় প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে উদ্যোগ নিলেও তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অসাধুরা নদী ও মৎস সম্পদের ক্ষতি করে যাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাযায়, চলতি বছর এপ্রিল (২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ)  মাসে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব উন্নয়ন বরাবর আলহাজ্ব মানিক মিয়া নামের এক ব্যক্তি  আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৩ এপ্রিল, (স্মারক নং ৪২,০০০০.০০০.০৩৬.১৪০০০৮.১৪.১১৪) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কতৃক নদীর পরিদর্শন পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হলে গত ১ জুলাই বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড,  নির্বাহী প্রকৌশলী, মো: জাবেদ ইকবাল নদী খননের প্রয়োজন সম্পর্কিত প্রতিনেদন দাখিল করেন।

এ বিষয় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাবেদ ইকবালের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বর্তমান বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দিয়ে মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছি। অপরদিকে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমাদের অংশে সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে, ডিজাইনের জন্য পাঠানো হবে।  এটা পাস হলে আমারা দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করতে পারবো।