আর কতো মানুষের জীবনের বিনিময়ে ঢাকা মৃত্যুপুরী কে বসবাস এর যোগ্য করার ব্যাপারে চিন্তা করবো আমরা! তা আদৌ হয়তো কারোরই জানা নেই!
আজ রবিবার রাজধানী ঢাকাতে মেট্রোরেল চলাচলের সময় কম্পনরোধে ব্যবহৃত স্প্রিং (বিয়ারিং প্যাড) ছিটকে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে।আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামন এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণের বয়স আনুমানিক ৩৫-৪০ বছর হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোয়া ১২টার দিকে বিরাট আকারের স্প্রিংটি ছিটকে পড়ে। এসময় ফুটপাত দিয়ে ওই তরুণ ব্যাগ হাতে করে হেঁটে যাচ্ছিলেন। স্প্রিংটি তার মাথায় আঘাত করে পাশের একটি চাপ-সিঙ্গারা দোকানে আঘাত করে। এতে ও-ই দোকানের সামনের কাঁচ ভেঙে দুইজন আহত হন। আর মাথায় আঘাত লাগা ওই তরুণ ঘটনাস্থলেই তাৎক্ষণিক মারা যান। নিচে পড়া স্প্রিংটির ওজন ৪০-৫০ কেজি হবে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
পরবর্তীতে এ সংবাদে সড়ক ও রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে নিহত হওয়া ব্যক্তির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া তার পরিবারে কর্মক্ষম কোনো ব্যক্তি থাকলে তাকে মেট্রোরেলে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের সব দায়-দায়িত্ব মেট্রোরেল গ্রহণ করবে। প্রাথমিকভাবে নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পরে
নিহতের পরিবারে যদি কর্মক্ষম সদস্য থাকে তাহলে তাকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়া হবে। আহতদের আমি একটু পরে হাসপাতালে দেখতে যাব এবং তাদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনায় সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আবুল কালাম নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঈশরপাটি গ্রামে বলে জানা গেছে।

