চুয়াডাঙ্গা জেলায় জীবননগরে নিজেদের নামে জমির সকল কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও জমি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাবেক কমিশনার আব্দুর রশিদসহ ছয়টি পরিবার। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিভিন্নভাবে তাদের মানহানি ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে জীবননগর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জীবননগর পৌরসভার সাবেক কমিশনার আব্দুর রশিদ, আনিসুর রহমান, আপিল উদ্দিন, হাসু মিয়া, আলাউদ্দিন মাস্টার ও লুৎফর মাস্টার দীর্ঘদিন ধরে তাদের পৈতৃক সম্পত্তিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছেন। তাদের প্রত্যেকের নামে সংশ্লিষ্ট জমির কাগজপত্র রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তারা।
অভিযোগ অনুযায়ী, একই ওয়ার্ডের বেবি নামের এক নারী ওই জমির মালিকানা দাবি করে আসছেন। তবে বেবি বা তার পরিবারের কেউ উক্ত স্থানে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন না বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সাবেক কমিশনার আব্দুর রশিদ বলেন,বেবি যে জমির দাবি করছে, তার কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আমাদের কাছে জমির সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে। আড়াই শতক জমি আমাদের নিজস্ব, পাশাপাশি জেলা পরিষদের ৪৫ ফুট জমির ডিসিআরও আমার নামে রয়েছে। তারা গত ২২ বছর ধরে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। এমনকি সাবেক এমপি ও মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মাধ্যমে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে কাগজপত্র যাচাইয়ের পর তালা খুলে দেওয়া হয়। এখন বেবি ও তার পরিবার সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, যা আমাদের সম্মানহানির কারণ হচ্ছে।
অন্যদিকে বেবি অভিযোগের বিষয়ে বলেন,রশিদ কমিশনার যে কাগজপত্র দেখাচ্ছে, তা সঠিক নয়। তারা জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করে রেখেছে। একসময় তারা আমাদের কাছ থেকে ঘর ভাড়া নিয়েছিল, কিন্তু এখন ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে নিজেদের মালিকানা দাবি করছে।
ভূমি সংক্রান্ত এই বিরোধে উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। স্থানীয়রা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টির ন্যায়সঙ্গত সমাধান দাবি করেছেন।

