১৭৯০ সালে বর্তমান পাবনা জেলার বেশির ভাগ অংশ রাজশাহী জেলার একটি থানা হিসেবে ছিল। ওই সময় জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য ১৮২৮ সালে পাবনায় তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট মি. এ ডাব্লিউ মিলসকে জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়।
১৮২৮ সালের ১৬ অক্টোবর পাবনাকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর চার বছর পর ১৮৩২ সালে জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেটের পরিবর্তে ডেপুটি কালেক্টর নিয়োগের মাধ্যমে পাবনা পায় পূর্ণাঙ্গ জেলার মর্যাদা। কোম্পানি শাসনের অবসানের পর ১৮৫৮ সালে বৃটিশ সম্রাজ্ঞী রানি ভিক্টোরিয়ার শাসনাধীনে চলে যায় পাবনা জেলা। এর আগে, ১৮৫৫ সালে ময়মনসিংহ জেলা থেকে সিরাজগঞ্জ থানাকে পৃথক করে পাবনা জেলার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৮৭৮ সালের ১৯ জানুয়ারি জেলায় প্রথম রেলপথ স্থাপিত হয়। প্রথম মোটর সার্ভিসের প্রবর্তন করা হয় ১৯২৬ সালে। ১৯৪০ সালের পর পাবনা শহরে রিকশার প্রচলন ঘটে। বৃটিশবিরোধী আন্দোলনসহ সবকটি আন্দোলন সংগ্রামে পাবনা জেলার রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। হোসিয়ারী শিল্প, তাঁতশিল্প, কাঁচিশিল্প, বেনারসি-কাতানসহ অন্যান্য শিল্প-সমৃদ্ধ এই জেলা একসময় ছিল দেশের অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র।
৩৫১ দশমিক ৫০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট পাবনা জেলা বর্তমানে ৯টি উপজেলা, দুটি থানা ও ৭২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ২০১১ সালের আদম শুমারির চুড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পাবনা জেলার বর্তমান মোট জনসংখ্যা ২৫ লাখ ২৩ হাজার ১৭৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১২ লাখ ৬২ হাজার ৯৩৪ জন এবং মহিলা ১২ লাখ ৬০ হাজার ২৪৫।
জেলা গঠনের ১৮০ বছর পর ২০০৮ সালে ‘আজকের প্রজন্ম ফোরাম’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রথম পাবনা জেলার জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর আগে, কখনো কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ধরনের আয়োজনের কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। পাবনা জেলার জন্মদিন পালনের পথিকৃৎ আজকের প্রজন্ম ফোরামের কর্ণধার খালেদ হোসেন পরাগ।