Crime News tv 24
ঢাকারবিবার , ৯ নভেম্বর ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মৌলভীবাজার হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বরখাস্তাদেশ স্থগিত- বহাল রাশেদা

Link Copied!

মৌলভীবাজারের হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে শিক্ষা অধিদপ্তরের বরখাস্তাদেশ ছয় (৩) মাসের জন্য স্থগিত করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।

রবিবার (১৯ নভেম্বর ২০২৫) বিচারপতি এ. কে. এম. রবিুল হাসান এর একক বেঞ্চ থেকে এ আদেশ দেওয়া হয়।

আদালত রাশেদা বেগমের দায়ের করা সিভিল রিভিশন মামলা নং–৪৩৯৩/২০২৫ শুনানি গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করে রুল জারি ও স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন।
ফলে আপাতত বরখাস্তাদেশের কার্যকারিতা বন্ধ থাকবে এবং তিনি প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্বে বহাল থাকবেন।

তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিতের দাবি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) পরিচালিত তদন্তে রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক–১) মোঃ নাজিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

সে অনুযায়ী বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটিকে বিদ্যালয় পরিচালনা প্রবিধানমালা–২০২৪ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

উক্ত নির্দেশনার ভিত্তিতে জেলা শিক্ষা অফিস বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু করলে, রাশেদা বেগম আইনি লড়াইয়ে নামেন এবং ড. এম. খালেদ আহমেদ (সিনিয়র অ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট) এর মাধ্যমে সিভিল রিভিশন আবেদন (এন্ট্রি নং ৫১৬১/২০২৫) দায়ের করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়,

“রুল জারি করা হলো, যাতে বিবাদীপক্ষ দেখাতে পারেন কেন নিম্ন আদালতের আদেশ বাতিল করা হবে না।
বরখাস্তাদেশের কার্যকারিতা ছয় (৩) মাসের জন্য স্থগিত থাকবে।”

আদালত সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে চার (৪) সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট ।

রাশেদা বেগমের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাদিয়া মেহরিন (Barrister-at-Law, Lincoln’s Inn) বলেন,
“আদালত আমাদের পক্ষের বক্তব্য শুনে ন্যায়সংগতভাবে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এখন বিষয়টি মূল শুনানিতে নিষ্পত্তি হবে।”

অন্যদিকে শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান,
“আমরা আদালতের আদেশের কপি পাওয়ার পর আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

মামলাটি দায়ের করা হয়েছে দেওয়ানি কার্যবিধি (Code of Civil Procedure, 1908)-এর ধারা 115(1) অনুসারে, যা নিম্ন আদালতের রায় বা আদেশের পুনর্বিবেচনার সুযোগ দেয়।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাদিয়া মেহরিন (Barrister-at-Law, Lincoln’s Inn) আরো বলেন,আদালত প্রাথমিকভাবে মনে করেছেন, নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি বা অসঙ্গতি থাকতে পারে, তাই রুল ও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

এখন উভয় পক্ষের যুক্তি শুনে আদালত চূড়ান্ত রায় দেবেন—যার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে রাশেদা বেগমের বরখাস্তাদেশ স্থায়ীভাবে বহাল থাকবে কি না, নাকি চূড়ান্তভাবে বাতিল হবে। ততদিন পর্যন্ত তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্বে বহাল থাকবেন।