কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে পাবনা জেলা যুবদল ও কৃষকদল নেতাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় আটক করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৩১ আগস্ট (রবিবার) কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে পাবনা জেলা যুবদল নেতা রাশেদ রানা, সুজানগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ মণ্ডল এবং যুবদল কর্মী আমিনুল ইসলাম রনিকে সিরাজগঞ্জের ফুড ভিলেজ হোটেলের সামনে থেকে র্যাব জোরপূর্বক আটক করার অভিযোগ উঠেছে। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, “এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং প্রতিহিংসামূলক নাটক। আমাদের তিনজন নেতাকর্মী কক্সবাজারে পারিবারিক সফরে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে হঠাৎ করেই র্যাবের সদস্যরা গাড়ি থামিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধারের কাহিনী সাজায়। এটি রাজনৈতিকভাবে আমাদের হেয় করার অপচেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। তৎকালীন স্বৈরাচার শাসনামলে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপরে যেভাবে নাটক সাজিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে গুম করে রেখেছে তারই কেবল প্রতিচ্ছবি মাত্র।এই সকল নাটকের প্রতিবাদ না করলে ভবিষ্যৎতে এর চেয়েও ভয়ংকর ভয়াবহ হতে পারে অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে, শুরুতেই যেমন আমাদের সাথে হয়েছে।
রাশেদ রানা আরও বলেন, আমি পাবনা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য। বর্তমানে আমি মাছের খামার, ঠিকাদারি ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একজন সামাজিক মানুষ। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের সঙ্গে থাকা ড্রাইভার হাফিজ, সুপারভাইজার সোহেল এবং হেলপার সেলিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তারা স্বচক্ষে দেখেছেন যে, আমাদের কাছ থেকে কোনো কিছু উদ্ধার করা হয়নি। কিন্তু তবুও মিথ্যা অভিযোগে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মিথ্যা মামলার কারণে তার পরিবার আজ সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছে। সন্তানরা আতঙ্কে স্কুলে যেতে পারছে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা সাংবাদিক ভাই বোনদের কাছে অনুরোধ করছি আপনারা আপনাদের কলম ও ক্যামেরার মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্রের প্রকৃত চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরুন। আমরা বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমই সত্যকে প্রকাশ করবে।
রাশেদ রানা দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, আমরা সত্য ও ন্যায়ের পথে আছি এবং থাকব ইনশা-আল্লাহ।

