বাগেরহাটের রামপালে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য কবরী কীর্তুনীয়া রামপাল থানায় প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। টাকা আত্মসাৎ করে দীর্ঘদিন ওই ইউপি সদস্য পলাতক থাকায় হতদরিদ্র পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের সাবেক আ.লীগ সদস্য ও ৫নং ওয়ার্ডের অমৃত কির্ত্তুনীয়ার ছেলে ইউপি সদস্য অরূপ কির্তুনীয়া ও তার স্ত্রী চম্পা কির্ত্তুনীয়া বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ভুল বুঝিয়ে হতদরিদ্র ওই নারীকে দিয়ে গত প্রায় ৬ মাস পূর্বে আরআরএফ এনজিও রামপাল শাখা থেকে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এভাবে বাদাবন এনজিও হুড়কা শাখা থেকে ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন ওই নারী। সর্বমোট ৮০ হাজার টাকা ধরেই ইউপি সদস্য অরূপ কির্ত্তুনীয়া তার ব্যক্তিগত কাজের কথা বলে কবরীর কাছ থেকে নিয়ে নেন ওই ইউপি সদস্য। কথা ছিল ওই দুইটি এনজিওর টাকা সুদসহ সমস্ত কিস্তি পরিশোধ করবেন। কিন্তু প্রাথমিকভাবে ২/৩ টি কিস্তি পরিশোধ করে আর কোন কিস্তি পরিশোধ না করে হটাৎ তার বৌকে নিয়ে পালিয়ে যান। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে অনেকদিন পূর্বে ওই দম্পতি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে। টাকা নেওয়ার বিষয়টি তার পিতা অমৃত কির্ত্তুনীয়াকে অবহিত করা হলেও কোনো কর্ণপাত করেননি তিনি। এদিকে এনজিও থেকে বারবার তাগিদ দিলেও কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেনা ভুক্তভোগী। ইতিমধ্যে আরআরএফ এনজিও থেকে বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে নোটিশও দিয়েছে ভুক্তভোগী কবরীকে। বর্তমানে মোটা অংকের টাকা পরিশোধের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র ওই পরিবারটি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য অরূপ কির্ত্তুনীয়ার ব্যাবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়ারা জানায়, এভাবে সে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। টাকা নিয়ে ফূর্তি ও অনলাইন জুয়া খেলে ফতুর হওয়ার কারণে টাকা দিতে না পারায় চম্পট দেয় অরূপ। এ ছাড়াও নারী ঘটিত সমস্যার কারণেও সে বেশ আলোচিত।
অভিযোগের বিষয়ে রামপাল থানার দারগা হারুনের সাথে কথা হলে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত পলাতক থাকায় আইনগত ব্যাবস্থা নিতে বিলম্ব হচ্ছে।