শিমুল রেজা নিজস্ব প্রতিবেদক:-
চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড চিনিকলের ২০২৫-২৬ আখ রোপণ মৌসুমের এসটিপি ও সরাসরি পদ্ধতিতে আখ রোপণের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টায় দামুড়হুদা উপজেলার আকন্দবাড়ীয়া, ফুরশেদপুর, আড়িয়া, বেগমপুর, ঝাঁঝরি, ডিহি, হিজলগাড়ী বাণিজ্যিক খামার সহ-
বিভিন্ন এলাকার চাষির জমিতে আখ রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানির কর্তৃপক্ষ। এ সময় চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের উপব্যবস্থাপক (সিপিসিআর) আনোয়ার হোসেন, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভৃঁইয়া, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ওমর আল ফারুক গালিব, খামার ব্যবস্থাপক সুমন কুমার সাহা, উপ-মহাব্যবস্থাপক (বীজ) দেলওয়ার হোসেন ও সিপিও মাহবুবুর রহমান সহ- এলাকার সম্মানিত শতাধিক আখচাষি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সুগারমিল কর্তৃপক্ষ বলেন, একটা সময় আখ চাষ থেকে কৃষকরা মুখ ফিরিয়ে নিলেও ভালো দামের কারণে এখন আবাদ বাড়ছে। মিল জোন এলাকায় এবার আখ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার একর জমিতে। গেল বছর আখের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৫৫০ একর। তবে এবার আখ রোপণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া গেল বছর মিল গেটে প্রতিমণ আখ ১৮০ টাকা প্রদান করা হলেও ২০২৪-২৫ মাড়াই মৌসুমে প্রতিমণ আখের দাম দেয়া হবে ২৪০ টাকা।
নতুন রোপণ মৌসুমের কার্যক্রমের সূচনা করেন এবং সাফল্যের জন্য একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান জানান, আখ বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। চিনি উৎপাদনের প্রধান উপাদান এই আখ। বিগত কয়েক বছর থেকে দর্শনা কেরু চিনিকল জোন এলাকায় আখ চাষ কম হওয়ায় চিনিকল কম চলেছে। এবার চিনিকলের লোকশান আরও কমিয়ে আনতে জোন এলাকায় ৬ হাজার মেট্রিক টন আখ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে কোম্পানি আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের সর্বোচ্চ লাভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আধুনিক পদ্ধতিও পরিচর্যার গুরুত্ব এবং আখচাষিদের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও আগামী মৌসুমে আখ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।