চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার মিরাপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী সারোয়ার হোসেন নিশান প্রমাণ করেছেন—ইচ্ছাশক্তি, আগ্রহ আর পরিশ্রম থাকলে তরুণরাও হতে পারে সফল উদ্যোক্তা।(ইউটিউব) এ ভিডিও দেখে আগ্রহ জন্মানো সারোয়ার আজ কবুতর পালনকে রূপ দিয়েছেন সম্ভাবনাময় একটি খামারে। তার খামারটি এখন তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।
প্রায় এক বছর আগে মাত্র দুই জোড়া কবুতর নিয়ে খামার শুরু করেন সারোয়ার। বর্তমানে তার খামারে কবুতরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ জোড়া। তিনি জানান, “কবুতর পালনে অতিরিক্ত কোনো জায়গার প্রয়োজন হয় না। নিয়মিত খাবারও দিতে হয় না, ওরা অনেকটাই প্রাকৃতিকভাবে খাবার সংগ্রহ করতে পারে। খরচও তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি এই কাজটি সহজেই করা যায়।”
সারোয়ারের স্বপ্ন অনেক বড়। তিনি বলেন, “যদি সরকারি কোনো প্রশিক্ষণ বা আর্থিক সহায়তা পেতাম, তাহলে আর চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেই একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারতাম ইনশাআল্লাহ। আমি চাই নিজেই কর্মসংস্থান তৈরি করে সমাজের বেকার তরুণদের উৎসাহিত করতে।”
তার এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই এলাকায় সাড়া ফেলেছে। পাশের এক স্কুল শিক্ষার্থী বলেন, “নিশান ভাইয়ের খামার দেখে আমিও কবুতর পালন শুরু করেছি। আমি চাই লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজের একটি খামার গড়ে তুলতে। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে চাই।”
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম মবলেন, “সারোয়ারের মতো তরুণদের উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। এমন উদ্যোগ শুধু একজনের জীবন বদলায় না, বদলায় সমাজের চেহারাও। যদি সরকার সহযোগিতা করে, তাহলে এই তরুণরা একদিন আমাদের গর্ব হবে।”
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, এমন উদ্যোক্তা তৈরির পেছনে সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ, ঋণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিত করা গেলে সারোয়ারের মতো আরও অসংখ্য তরুণ হয়ে উঠতে পারে দেশের জন্য মূল্যবান সম্পদ।