বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির উপর নির্ভরশীল। তাই আমদানি নির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানি শক্তি থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি, জলবায়ু পরিবর্তন, আমদানি নির্ভর আর্থিক চাপ এবং ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার যুগে ন্যায্যতার ভিত্তিতে জ্বালানি রূপান্তর ঘটাতে হবে।

ভবিষ্যত প্রজন্মকে দূষণমুক্ত বাতাসে জীবনযাপন করার সুযোগ, টেকসই ও সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়তে ন্যায্য সবুজ জ্বালানি রূপান্তর ঘটাতে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। ০৯ নভেম্বর রবিবার দুপুরে মোংলা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কে এম রব্বানী একথা বলেন। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), মোংলা সরকারি কলেজ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ প্লানেটিয়ার্স ক্লাব এ বিতর্কের আয়োজন করে। ”বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নবায়নযোগ্য জ্বালনি শক্তির উপরই নির্ভরশীল” শীর্ষক এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মোংলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা কৃষি অফিসার প্রশান্ত কুমার হাওলাদার, মোংলা সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. অসিত বসু, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এস এম মাসুদ রানা ও উপজেলা জাইকা কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম। বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মোংলা সরকারি কলেজের প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, প্রভাষক মনোজ কান্তি বিশ্বাস ও প্রভষক সাহারা বেগম। সঞ্চালক ছিলেন মোংলা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক এস এম মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন চাষাবাদের সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি আবিস্কৃত হয়েছে। একে বলে অ্যাগ্রিভোল্টাইকস। বাংলাদেশে ১১ লাখ ৮০ হাজার একর জমিতে শাকশব্জি উৎপাদন করা হয়। যদি এর দশভাগও ব্যবহার করা হয় তাহলে ২১ হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা যাবে। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এস এম মাসুদ রানা বলেন পৃথিবীর বিকাশের এক পর্যায়ে জীবাশ্ম জ্বালানির বিশেষ ভূমিকা থাকলেও সময়ের প্রয়োজনে এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তিতে আস্থা রাখতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি হলো এমন শক্তির উৎস যা স্বল্পসময়ের ব্যবধানে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এবং ব্যবহারের ফলে শক্তির উৎসটি নিঃশেষ হয়ে যায় না। সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশকর্মী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ বলেন জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে আমদানি নির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানি নীতি পরিহার করে পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। টেকসই সবুজ পৃথিবী গড়তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে। ”বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির উপরই নির্ভরশীল” শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পক্ষ দলে মোংলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ হৃদয় হোসেন রিয়াদ, মোঃ সানিম ফকির, সাবরানা তাবাচ্ছুম সাবা (দলনেতা) এবং বিপক্ষ দলে অরিত্র হাওলাদার, কে এ রাফি আহমেদ ও হাওলাদার ইমতিয়াজ হোসেন (দলনেতা) অংশগ্রহণ করে। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় বিপক্ষ দল। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় বিপক্ষ দলের ইমতিয়াজ হাওলাদার। সবশেষে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

