Crime News tv 24
ঢাকারবিবার , ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাবনায় এলজিইডির দূর্নীতিতে সড়ক নির্মাণে রাবিশ, পোড়া মবেল ব্যবহারের অভিযোগ।

পাবনা প্রতিনিধিঃ-
অক্টোবর ১৯, ২০২৫ ২:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাবনায় এলজিইডির দূর্নীতিতে সড়ক নির্মাণে রাবিশ পোড়া মবেল ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। আটঘরিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার কেশবপুর থেকে বালুঘাটা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজে রাবিশ, পোড়া মবেল ও নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে চলছে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ উপজেলা প্রকৌশলী বাকিবিল্লাহর ঘুষ বাণিজ্যের কারণেই নিম্নমানের এসব মালামাল ব্যবহার করা হচ্ছে।

গত বছর সড়কটির কাজ শুরু হলেও দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে পুরো এক বছর প্রকল্পের কাজ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি কাজ আবারও শুরু হয়েছে; তবে অনিয়ম ও দুর্নীতির ধারা বদলায়নি, বরং আরও বেপরোয়া হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “এই খোয়া রাস্তার নতুন কোনো খোয়া এখনো দেওয়া হয়নি। আগের মতোই নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার হচ্ছে। আমরা চাই, জনগণের টাকায় যেন সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন হয়।”

আরেক স্থানীয় সিদ্দিক হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রাবিশ দিয়ে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। পুরনো ভাঙা ইট ব্যবহার করা হচ্ছে হাত দিলেই ইট ভেঙে যাচ্ছে। এ যেন দূর্নীতির প্রকাশ্য মহোৎসব। প্রতিবাদ করলেই ‘উপর মহলের’ ভয় দেখিয়ে আমাদের চুপ করিয়ে দেওয়া হয়।”

মাওলানা মাসুদুর রহমান বলেন, “আগের মতো এবারও দুই নাম্বার মালামাল দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদার। আমরা আগেও সতর্ক করেছিলাম, কিন্তু কেউ শুনেনি। উপজেলা প্রকৌশলী আর ঠিকাদারের যোগসাজশ ছাড়া এমন নিম্নমানের কাজ করা সম্ভব না।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে উপজেলা প্রকৌশলী বাকিবিল্লাহকে ঘুষ দিয়েই নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করছে। ফলে রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার হচ্ছে পোড়া মবেল, রাবিশ ও ভাঙা ইটের মতো নিম্নমানের সামগ্রী, যা টেকসই নয় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী বাকিবিল্লাহকে ফোনে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংক্ষেপে বলেন, “আমি মিটিংয়ে আছি, পরে আপনাকে কল দেব।

স্থানীয়রা বলেন, “যতদিন উপজেলা প্রকৌশলীর ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ না হবে, ততদিন এলাকায় কোনো উন্নয়নমূলক কাজ টেকসই হবে না। প্রশাসনের উচিৎ বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া।