Crime News tv 24
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাণীশংকৈলে কৃর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ভোগান্তিতে শতাধিক পরিবার।

বিজয় রায়, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ-
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫ ৫:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জেলার রানীশংকৈল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী এ এস এম জাবেদ আলী বলেন, ঠিকাদারকে বলা হয়েছে অল্পকিছুদিনের মধ্যেই ড্রেনের উচু স্থান কেটে ফেলে পরিবারগুলো যাতে যাতায়াত করতে পারে সে ব্যাবস্থা করা হবে।

ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল পৌরসভা খ শ্রেণির অন্তভুক্ত একটি পৌরসভা। রানীশংকৈল পৌরশহরের ২ নং ওয়ার্ড এর মেইন সড়ক সোনালী ব্যাংক এর সামনে থেকে বন্দর বাজার হয়ে ডাবতলী মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি প্রায় দীর্ঘ সময় ধরে পৌর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পড়ে ছিল। জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া হয়নি কোন উদ্যেগ।

গত অর্থবছরে রাস্তা সংস্কার ও ড্রেন বর্ধিতকরণ এর প্রায় ১ কৌটি ৩২ লক্ষ টাকায় ৭৫০ মিটার, টেন্ডারের কাজ পায় মেসার্স নন্দন প্রেস নামে একটি প্রতিষ্ঠান। কাজ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই কোন কারন ছাড়ায় কাজ বন্ধ করে দেয় এই প্রতিষ্ঠানটি। চলমান কাজ কয়েক দফায় বন্ধ রেখে কুনমতে কাজ সম্পুন্ন করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস নন্দন প্রেস। কাজের গুণগত মান ঠিক না রেখে কাজ করায়, রাস্তা থেকে ড্রেন ১ ফিট উচু রেখেই রাস্তা ঠালাই সম্পুন্ন করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এতে চলাচলে বিপাকে পড়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার।

বাংলাদেশে ড্রেনে পড়ে মানুষের মৃত্যু মর্মান্তিক ও লজ্জাজনক বাস্তবতা। আধুনিক যুগে যখন প্রযুক্তি, অবকাঠামো ও নাগরিক সেবার উন্নতির কথা বলা হচ্ছে, তখন শহরের বুক চিরে বয়ে চলা উন্মুক্ত ও অব্যবস্থাপনায় ভরা ড্রেনগুলো যেন এক-একটি মৃত্যুকূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনের জীবন সংগ্রামে মানুষ যখন রাস্তায় বের হয়, তখন সে কি জানে, ফিরে নাও আসতে পারে?

শিশু, বৃদ্ধ, নারী, এমনকি কর্মজীবী মানুষ, সবাই এই ঝুঁকির মুখোমুখি। রাস্তা থেকে এক ফিট উচুতে ড্রেন হওয়ায় মৃত্যু ঝুকিতে রয়েছে পরিবারগুলো এই মৃত্যু শুধু দুর্ঘটনা নয়, এটি দায়িত্বহীনতার ফসল।অপরিকল্পিত ড্রেন নকশা ও নির্মাণ অনেক বেশি ঝুকির কারন হয়ে দাড়িয়ে আছে।

ভুক্তভোগী এস,কে মাসুদ রানা জানান, আজ প্রায় দেড় বছর যাবৎ রাস্তা ও ড্রেনের কাজ করছে। যখন কাজ করে তখন ঠিকাদারের লোকজন বলেছে ড্রেন সমান রাস্তা হবে আপনাদের চলাচলে কোন সমস্যা হবে না। আপনাদের ভেতরের অংশে ঠিক করে নিবেন। এদিকে আমরা রাস্তা সমমান কাজ করবো। অথচ আজ প্রায় দেড় বছর হতে চলেছে আমরা আমাদের বাসায় গাড়ি, মোটরসাইকেলের ভেতরে ঢোকাতে পারছিনা। বাসায় শিশু, বয়োবৃদ্ধ মানুষ জনের এক বিশাল সমস্যা হয়ে গেছে খুব কষ্ট করে চলাফেরা করতে হচ্ছে সবসময় এক্সিডেন্ট এর ভয় কাজ করছে। না জানি কখন কি হয়। এখন ঠিকাদার বলছে এক কথা আর পৌর ইঞ্জিনিয়ার বলছে আরেককথা। আমরা প্রতিনিয়তই পৌর কর প্রদান করে এখন ভোগান্তিতে দিন গুনছি।

শিক্ষাথী সজীব সাহা বলেন, রাস্তা ও ড্রেনের কাজটি খুবই নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে করা হয়েছে যা দৃশ্যমান। যাদের এ সমন্ধে সল্প জ্ঞান রয়েছে তারা রাস্তা ও ড্রেনটি পরিদর্শন করলে দেখতে পারবে। বর্তমানে সব থেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে আমাদের ২ নং ওয়ার্ড ও ১ নং ওয়াডের প্রায় শতাধিক পরিবারের ড্রেনর কারনে রাস্তা বন্ধ রয়েছে। আমরা দ্রুত এ রাস্তাটির চলাচল উপযোগী করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

স্কুল শিক্ষক সীমা আকতার আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, আমার ২ টি সন্তান সহ আমাদের বাসায় ৪জন শিশু রয়েছে যাদের নিয়ে সরাদিন দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। দুএকবার তারা এই উচু ড্রেন এর কারনে ব্যথাগ্রস্থ হয়েছে। বাসায় আতীয় স্বজনদের কাছে লজ্জিত হতে হচ্ছে প্রতিনিয়তই।

স্কুল শিক্ষক সারজিন জাহান শাপলা বলেন, আমার মেয়েদের নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। উচু ড্রেনে উঠা নামা করতে। আমার ছোট মেয়ে সারাদিনে প্রায় শতাধিক বার যাতায়াত করে কখন পড়ে গিয়ে ব্যথা পাবে তাতো বলা মুসকিল সব সময় টেনশনে থাকতে হচ্ছে। এখন যত দ্রুত সম্ভব কাজটি করলে আমরা এলাকাবাসী উপকৃত হবো।

পঞ্চম শেণী পড়ুয়া স্কুলছাত্রী সাদিয়া আক্তার মিথি বলেন, আমাদের বাসা থেকে রাস্তায় উঠানামা করতে মনে জেন পাহাড়ে উঠানামা করছি। কিযে একটা অবস্থা। দেখতেও খারাপ লাগছে আমার আব্বুর মোটরসাইকেলটা বাসায় উঠাতে পারছে না। অন্য মানুষের বাসায় রাখতে হচ্ছে। যে কোন সময় বের করা যায় না। আমার স্কুল প্রাইভেটে যেতে হচ্ছে ভেনে করে। সব সময় ভেন পাওয়াও যায়না। প্রায় সময় আমাকে দেরী করে পৌচাতে হচ্ছে। কবে যে এটা ঠিক হবে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নন্দন প্রেস এর সত্ত্বাধিকারী মোঃ শফিউল আলম আমাদের প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে জানান, রাস্তাটির কাজ আমরা করেছি তিনি জানেনও না যে এই রাস্তার ড্রেন এর কাজটি আবার কেটে ছোট করে করতে হবে। অথচ পৌর সহকারী প্রকৌশলী এ এস এম জাবেদ আলী বার বার বলছেন, ঠিকাদার সামনে সপ্তাহে কাজটি শুরু করবেন। কেন এই ধুয়াশায় আমরা।

প্রশাসনিক উদাসীনতা যেন মুল কারন এমনটাই বলছে ২নং ওয়ার্ড এলাকাবাসী। যতদুত সম্ভব এ সমস্যা নিরসনে কাঙ্খিত পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবী জানান এলাকার সুধী সমাজ।