Crime News tv 24
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩১ জুলাই ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঝিনাইদহ-২ আসনে ভোট যুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের হাড্ডাহাড্ডি লড়ায়ের সম্ভাবনা। সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন যারা। আলোচনায় এক নারী নেত্রী।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ-
জুলাই ৩১, ২০২৫ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ঝিনাইদহ-২ (হরিণাকুণ্ডু–ঝিনাইদহ) আসনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের গণসংযোগ বেশ জমে উঠেছে। মাঠ পর্যায়ের প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রার্থীদের পোস্টার ও ব্যানারে এলাকার হাট-বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ইতিমধ্যে ভোটের আমেজ জানান দিচ্ছে । আসনটি ঝিনাইদহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন। জেলা সদর হওয়ায় সব দলই আসনটিকে নিজেদের দখলে রাখতে চায়। এ আসনে বিগত দিনে বিএনপি ও জামায়াতের আধিপত্য ছিল। তবে গত ১৬ বছরে বিতর্কিত একাধিক নির্বাচনে ভোট দিতে না পেরে ঝিমিয়ে পড়েছিলেন ভোটাররা। এবার তারা ভোটের অপেক্ষায় রয়েছেন। ভোটাররা বলছেন, তারা আবারো নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা এবং হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ঝিনাইদহ-২ নির্বাচনি আসন গঠিত। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর (৪ ইউনিয়ন ব্যতীত) ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নিয়ে ঝিনাইদহ-২ আসন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৬ হাজার ১০৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩০ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৯ হাজার ১৭১ জন। এ আসনে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৭ জন। ভোট কেন্দ্র ১৯৪টি।

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এম এ মজিদ এ আসনে থেকে বিএনপির একক মনোনয়ন প্রত্যাশী। অন্য দিকে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ এস এম মশিউর রহমান এ আসনে দলীয় মনোনয়নের জোরালো দাবিদার।  এ ছাড়া জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস (ছোট মজিদ)। সাবেক এমপি মশিউর রহমানের ছেলে ড্যাব নেতা ডা: ইব্রাহীম রহমান বাবু এ আসনে দলীয় প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন।

বিএনপি থেকে ঝিনাইদহে অনেকেই প্রার্থী হলেও, এবার আলোচায় এক নারী রাজনৈতিক  নেত্রী। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির  সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মৌ চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যে চেষ্টা করছেন । রাজপথে দীর্ঘ আন্দোলন  সংগ্রাম ও চড়াইউৎড়াই পেরিয়ে এবার ঝিনাইদহ সদরের এমপি প্রার্থী হিসেবে বেশ আলোচনায় রয়েছেন তিনি। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির পরিচিত মুখ ও জনবান্ধন রাজনৈতিক নেত্রী হিসাবোই তিনি পরিচিত।

তবে ঝিনাইদহ-২ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের

দ্বিধার কারন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান’কে নিয়ো কেন্দ্র থেকে পাঠানো একটি চিঠি । রাজনৈতিক মহলে গণঅধিকার গুঞ্জন ছড়িয়েছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই রাশেদ খান  ঝিনাইদহ-২ আসনে ভোটের মাঠে জোরেশোরে নেমেছেন।  বিএনপির সাথে গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচনী জোট হলে এ আসন থেকে রাশেদ খানের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও তারা প্রচার চালাচ্ছে। তবে স্থানীয় জনগণ ও বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীর চাওয়া ও দাবি এই আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাঃ এম এ মজিদ বিশ্বাসই মনোনয়ন পাবার একমাত্র দাবিদার।

ঝিনাইদহের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে প্রভাবশালী প্রার্থী দিতে পারে জামায়াতে ইসলামী। দলটির জেলা আমির অধ্যাপক আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকর এরই মধ্যে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে ঘুরছেন। তবে এ আসনে শিবিরের সাবেক নেতা ও সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ড. হাবিবুর রহমানও জামায়াতের প্রার্থী হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দলীয় কর্মসূচি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ভোট গোছানোর কাজ করছে জামায়াতে ইসলামী। ঝিনাইদহের মাটি বিএনপির ঘাটি হলেও জামায়াতের শক্ত অবস্থান রয়েছে হরিণাকুন্ডু ও সদরের পশ্চিমাঞ্চলে।

ভোটের মাঠে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক তারেক রেজা এ আসন থেকে লড়তে পারেন বলে জানা গেছে। অপর দিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ‘হাত পাখা’ প্রতীকে দলীয় একক প্রার্থী নিয়ে আগামী নির্বাচনে লড়তে পারেন দলটির জেলা সভাপতি এইচ এম মোমতাজুল করীম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পুনরায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন সাবেক সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল।

এবারের নির্বাচন নিয়ে এই আসনের সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের ধারণা  নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপির প্রার্থী  জয়ী হবার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি, কিন্তু দলীয় গ্রুপিংয়ের কারনে যদি দলীয় মনোনয়নের বাইরেও কেউ  স্বতন্ত্র প্রার্থী হযে ভোট ভাগ করে ফেলে তবে

জামায়াত ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি ভোটযুদ্ধে লড়াই হবে এবং জামায়াত  ইসলামী সুবিধা পেয়ে যেতে পারে,এমনটাই আলোচনা গুঞ্জন চলঝে শহর জুড়ে।