Crime News tv 24
ঢাকারবিবার , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুড়িগ্রামে আমনের ভরা মৌসুমে সারের সংকট, বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

হাবিবুর রহমান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫ ১১:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কুড়িগ্রামে ইউরিয়া সারসহ বিভিন্ন সার সংকটের কারণে বিপাকে সাধারণ কৃষক। সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রামেও সার সংকটের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, খুচরা ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন। চাহিদা অনুযায়ী কৃষকরা সার না পেয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বলে জানা যায়। কুড়িগ্রাম জেলা জুড়ে চলছে “রোপা আমন ও সবজির আবাদ”। আমন ধান চাষের শুরুতেই তৈরি হয়েছে সারের সংকট। দিন যতই যাচ্ছে, সংকট তত তীব্র হচ্ছে। কৃষকরা দিনের পর দিন সার ডিলারের কাছে ধর্ণা দিয়েও সার পাচ্ছে না বলে জানা যায়। জেলায় চলতি বছরে বন্যা ও ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চরাঞ্চলেও বেড়েছে অনেক আবাদ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জেলায় শীতের আগাম সবজি চাষ, যায় কারণে সারের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা চড়া দামে সার বিক্রি করছেন।

আমন চাষের শুরুতে জেলা জুড়ে ইউরিয়া, টিএসপি এবং ডিএপি সারের সংকট বিরাজ করছেন। জেলায় BCI-এর সার ডিলার ৯৪জন এবং BADC-এর সার ডিলার ১১৬জন। কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে রৌমারী, নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী এবং ফুলবাড়ী উপজেলায় সার সংকট নিয়ে কৃষকদের মাঝে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না তারা। সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে জনপ্রতি ১০/২০ কেজি’র উপর সার দিচ্ছে না ডিলাররা। সারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ধানসহ আগাম সবজির আবাদ গুলো। চলতি বছর জেলায় রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ২০হাজার ৫শ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে এক লাখ ২১হাজার ৪শ হেক্টর। আর সবজি জাতীয় ফসলের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭০০ হেক্টর। চাষ হয়েছে তার চেয়েও বেশি। কুড়িগ্রাম জেলায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আগস্ট মাসে বরাদ্দ আসে ইউরিয়া- ৬২৫৩মেট্রিক টন, টিএসপি- ৮০৯মেট্রিক টন, ডিএপি- ১০৭০মেট্রিক টন, এমওপি -১৫৭০মেট্রিক টন এবং সেপ্টেম্বর মাসে বরাদ্দ আসে ইউরিয়া- ৩৮৯৪মেট্রিক টন, টিএসপি- ৪৫২মেট্রিক টন, ডিএপি- ১২০১মেট্রিক টন, এমওপি- ১১১০মেট্রিক টন। যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম হয়েছে। সন্যাসী গ্রামের কৃষক মর্তুজা, আতা, লিটন, সুমন বলেন, বর্তমান বাজারে ইউরিয়া, পটাশ, ড্যাপ সার বাজারে দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। প্রতিটি সারের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কৃষকদের জন্য আবাদ করা বড় কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে টিএসপি ৪২টাকা, ডিএপি ৩৫টাকা এবং ইউরিয়া ৩৪টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত সার সরবরাহ না হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানান। মণ্ডল পাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়া, রহমান আলী বলেন, এবার বন্যা হয়নি। যার কারণে মানুষ চর-দ্বীপচরসহ বিভিন্ন এলাকায় ধান ও সবজির আবাদ করেছে। চাহিদার তুলনায় আমরা তেমন সার পাচ্ছি না। সব সারের সংকট দেখা দিয়েছে। ডিলাররা পর্যাপ্ত সার দিতে পারছেন না। যতটুকু সার দিচ্ছেন, তার দাম আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। সারের অভাবে ধান ক্ষেত নষ্ট হতে যাচ্ছে বলে জানান। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বছর বন্যা ও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় চরাঞ্চলে “রোপা আমনের আবাদ” বেড়ে গেছে। আমন ধানের আবাদ বেড়ে যাওয়ায় সারের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। তবে বর্তমান সারের কোনো সংকট নেই। প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের সার সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।