বাগেরহাটের রামপালের ফয়লাহাট খুলনা-মোংলা মহাসড়কের চৌরাস্তা মোড়ে পাওনা টাকার দাবীতে মানববন্ধন করেছেন। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২ টায় ভুক্তভোগীরা খান জাহান আলী বিমানবন্দরের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের আত্মসাতকৃত টাকা ফেরৎ চেয়ে এ মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেন।

ভুক্তভোগী চিত্তরঞ্জন পাল ও বিকাশ চন্দ্র পাল অভিযোগে জানান, গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত সুধীর পালের ছেলে গৌরাঙ্গ কুমার পাল ফয়লাহাট কামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি ভূয়া দলিলের মাধ্যমে খানজাহান আলী বিমানবন্দর অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
চিত্তরঞ্জন পাল আরও জানান, আমরা অশ্বিনী কুমার পালের ওয়ারিশ। তিনি ১৯৭০ সালের ১১ এপ্রিল ১৪২১/১৯৭০ নং কবলা দলিলে উক্ত জমিটি ক্রয় করেন। মৃত্যুর পর আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু বিবাদী গৌরাঙ্গ কুমার পাল জাল ও ভূয়া দলিল তৈরি করে আমাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করে এবং বিমানবন্দরের জমি অধিগ্রহণের সময় ক্ষতিপূরণের টাকা নিজ নামে তুলে নেয়। গৌরাঙ্গ পাল ১৯৭৪ ও ১৯৭৬ সালের জাল দলিল তৈরি করেন। কিন্তু তার জন্ম ১৯৭৬ সালের ১৬ মে। যা দলিলগুলোর অসত্যতা প্রমাণ করে।
ভুক্তভোগী ইতি রানি পাল জানান, বিবাদী গৌরাঙ্গ কুমার পাল ২০২৫ সালের ২৬ এপ্রিল একটি অঙ্গীকারনামা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে স্বীকার করেন যে, তিনি বিমানবন্দর অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার ৫১১ টাকা উত্তোলন করেছেন। এর মধ্যে চিত্তরঞ্জন পাল ও বিকাশ চন্দ্র পালের প্রাপ্য ২২ লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে পরিশোধের অঙ্গীকার করেন। দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি তা পরিশোধ করেননি। এখন তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কোন টাকা ফেরত দেবেন না।অঙ্গীকারনামায় গৌরাঙ্গ কুমার পাল লিখিতভাবে উল্লেখ করেন, আমার বংশের শরীক চিত্তরঞ্জন পাল (পিতা মৃত বিদ্যাধর পাল) ও বিকাশ চন্দ্র পাল (পিতা বিমল চন্দ্র পাল)’র প্রাপ্য ১১ লাখ টাকা করে মোট ২২ লাখ টাকা আগামী সাত দিনের মধ্যে পরিশোধ করিবো। অন্যথায় বাদী আইন আদালতের আশ্রয় নিতে পারিবেন। মানববন্ধন শেষে ভুক্তভোগীরা ঝাড়ু মিছিল করে প্রতারক গৌরাঙ্গর শাস্তিসহ পাওনা টাকা দাবি করে প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তবে অভিযুক্ত গৌরাঙ্গ কুমার পাল সংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। আমিও ন্যায়বিচার চাই।

 
                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
								                                                                                     
                                    
 
                                 
                                 
                                 
                                