Crime News tv 24
ঢাকামঙ্গলবার , ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চুয়াডাঙ্গার ছোটশলুয়ার কিতাব- আত্তাব গংদের বিরুদ্ধে জমাজমি বিষয়ে বিস্তর অভিযোগ।

স্টাফ রিপোর্টার:-
অক্টোবর ২৮, ২০২৫ ৪:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সবুজে- শ্যামলে ছায়ায় ঢাকা,-পাখী ডাকা ছোট্ট একটি গ্রাম ছোট শলুয়া।গ্রামটি চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন তিতুদহ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে অবস্হিত।ওই গ্রামের কুমিল্লা পাড়ায় বসবাস করেন বৃদ্ধা নেহারন নেছা( ৬৭) ও তার প্রতিবন্ধী স্বামী মোঃ আব্দুল জুব্বার মন্ডল।বৃদ্ধা নেহারন নেছা (৬৭) দীর্ঘ্যদিন ধরে আপন ভগ্নিপোত ও প্রতিবেশীদের দ্বারা শারিরীক,মানুষিক নির্যাতিত ও আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়ে আসছেন।সে সাথে বসত ়ভিটার জমাজমি নিয়েও দীর্ঘ্যদিন ধরে প্রতারিত হয়ে আসছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক ও সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, জেলা ছোটশলুয়া গ্রামের বৃদ্ধা মহিলা নেহারন নেছা (৬৭)ও তার বয়ঃবৃদ্ধ প্রতিবন্ধী স্বামী আব্দুল জব্বার(৮০) অনেকটা অসহায় ভাবে জীবন যাপন করেন।তার বড় ছেলে বাস্তব আলী পৃথক ভাবে তাদের পুরানো ভিটেই বসবাস করেন।তিনি তার পিতা মাতাকে কোন রকম খোঁজ খবর নেন না।ছোট ছেলে জয়নাল ( ৩৮) তিনিও পৃথক ভাবে বসবাস করেন।তবে, ছোট ছেলে জয়নাল তার স্বার্থপর স্ত্রীর ফাঁদে পড়ে কখনো সিলেট আবার কখনো বাড়ি এবং বর্তমানে ঢাকায় কাজের জন্য অবস্হান করছেন।যদিও জয়নালের ুউচিত ছিলো তার পিতা- মাতার অন্ন বস্ত্র বাসস্হান ও নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পিত্রালয়ে সহাবস্হান করা।

প্রতিবন্ধী জুব্বার মন্ডল প্রবাসে থাকাকালীন অভিভাবক ছিলেন কিতাব আলীঃ
বৃদ্ধা নেহারন নেছা ও তার ছেলে মেয়েরা অভিযোগ করে জানায় যে,বর্তমানে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে থাকা আমাদের অভিভাবক জুব্বার মন্ডল ১০ বছর মালয়েশিয়ায় প্রবাসে থাকা কালীন তার অনুপস্হিতে অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলো কিতাব আলী।সম্পর্কে নেহারন নেছার মেজো ভগ্নিপোত।তিনি তৎকালীন সময়ে একজন ভ্যান চালক হিসেবে কোন রকম দিনাতিপাত করতেন।কিতাব আলীর সংসারই ঠিক মত চলতো না।কিন্তু, জুব্বার মন্ডল পরিবারের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ, বিয়ে সাদীর খরচ ও জমাজমি ক্রয়ের খরচ সবকিছুই কিতাব আলী এক হাতে নিয়ন্ত্রণ করতেন।সে সময় থেকে নানান কৌশলে সততাকে বিসর্জন দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।সেই সাথে বর্তমানে বসতঃ ভিটার জমি ক্রয়ের সময় রেজিস্ট্রিতে উলোট পালট করে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করে রেখেছে।প্রবাসে থেকে জুব্বার মল্ডল তৎকালীন সময়ে লাখো লাখো টাকা পাঠিয়েছে।আর, ওই পাঠানো টাকা দিয়ে জুব্বার মন্ডলকে ভুল বুঝিয়ে ছোট ছেলে জয়নাের নামে ১০ কাঠা জমি লিখে দেয়াতে বর্তমানে জয়নালই জুব্বার মন্ডলের শত্রুতে পরিণত হয়েছে।এমন কি জয়নাল ও তার স্ত্রী শিরিনাকে দিয়ে একেরপরএক ষড়যন্ত্র করে নেহারনের পরিবারকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।ওই ভন্ড প্রতারক কিতাব আলীর কথামত জয়নাল ও তার স্ত্রী শিরিনা নেহারন ও তার বৃদ্ধ স্বামী জুব্বার মন্ডলকে বাড়ি ছাড়া করাতে নানান রকম কৌশল অবলম্বন করে আসছে।এখনো পর্যন্ত ষড়যন্ত্র থেমে নেই বলে অভিযোগ করেছে।এছাড়া, কিতাব আলী জুব্বার মন্ডলের টাকা পয়সা নয় ছয় করে মাঠের জমি নিজের নামে কিনেছে এবং বিঘা খানেক জমি জুব্বার মন্ডলের নামে কিনে দিলেও সে জমিও বিভিন্ন কারণে রক্ষা করা যায়নি।

কিতাব- আত্তাব ছিলো সর্বদা ধান্দাবাজঃ

ছোটশলুয়া গ্রামের কুমিল্লা পাড়ার ভন্ড প্রতারক কিতাব- আত্তাব ঠুনকো বিষয় নিয়ে ২০০৯ সালে দুই পরিবারের মধ্যে মারামারি হয়।সে ঘটনায় মিথ্যা ভাবে ঘর থেকে ৭ হাজার টাকা চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করেছিলো।সেই সালিশের মাতব্বর ছিলো স্বৈরাচারের দোসর আলি হোসেন ও শহিদুল।তারা আরেক দোসরের পক্ষ নিয়ে উৎকোচ বানিজ্য করেছিলো।যা ছিলো নিন্দনীয় বিষয়।

কিতাব- আত্তাবের অন্যের জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টাঃ
কিতাব- আত্তাব গং স্হানীয় একজন সাব রেজিঃ অফিসের মহুরার প্রত্যাক্ষ এবং পরোক্ষ সহযোগিতায় জমাজমির কাগজ পত্র এবং ম্যাপ জাল জালিয়াতি করে অন্যের জমি দখল করে রেখেছিলো।কিতাব- আত্তাব তাদের দলিলে ১৫ কাঠা জমির মালিক হলেও তারা অন্যের জমি আরো দেড় কাঠা জোর পূর্বক দখল করে রেখেছিলো।গত ২৫ অক্টোবর ” আমিন ” দ্বারা দলিল মোতাবেক জমির সীমানা নির্ধারন করা কালে দখলীকৃত জমি মূল জমি দাতার নিয়ন্ত্রণে আসে।এ ব্যাপারে জমির মালিক শাহাজুদ্দীন প্রতিবেদককে জানান,আমার সাথে কিতাব- আত্তাবদের মধ্য অলিখিত আর্থিক লেনদেন ছিলো।তার মানে এই নয় যে,আমার দেড় কাঠা জমি ওরা জোর পূর্বক দখলে রাখবে।এটা, তাদের অন্যায় ছিলো।বিগত দিনগুলোতে কিতাব- আত্তাব গ্রামের প্রভাবশালীদের টাকার মাধ্যমে ম্যানেজ করে জমি জোর পূর্বক নিজের দখলে রেখে আশেপাশের অন্যন্যদের জমির সীমানা নিয়ে ঝামেলা বাঁধিয়ে রেখেছে।ওই দিন আত্তাব- তার ছেলে বাড়ি থেকে ধারালো হাইস্যা ও লাঠি এনে সকলের উপস্হিতিতে মূল জমির মালিকদের হুমকি দামকি দিতে আসে।যা ছিলো ” চোরের মায়ের বড় গলা” র মত।যা মোটেই কাম্য ছিলো না।

পরিশেষে চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছিলো।