বরিশাল সদর উপজেলার চরা আইচা গ্রামের এ আর খান স্কুল এলাকায় ধর্ষণের সাক্ষী দেওয়ায় মা ও মেয়েকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় গুরুতর আহত মা পারুল বেগম(৪৫) ও মেয়ে সালমা আক্তার (২৬) মুমূর্ষ অবস্থায় শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে পারুল বেগম ও তার মেয়ে সালমা আক্তার সাংবাদিকদের জানায় প্রায় মাস খানেক আগে তাদের পার্শ্ববর্তী মোকলেসের মেয়ে জামাই সোহাগ তার চাচতো শালিকে জোরপূর্বক রাতের আঁধারে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই মেয়ের ডাক চিৎকারে পারুল বেগম ও তার মেয়ে সালমা ঘটনাস্থলে গেলে সোহাগকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে দেখে তারা। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ-মীমাংসার ব্যবস্থা করা হলে সোহাগকে স্থানীয়রা সালিশ করে ১ লাখ টাকা জরিপানা ধার্য করে।পরবর্তীতে এত টাকা দিতে না পারবে বিধায় তাকে ৫০ হাজার টাকা ধার্য করে।
এবং এক মাস পর টাকা দেওয়ার কথা থাকে আর এই টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার রাত নয়টায় মোকলেস, রাকিব, সোহাগ,সুজন, পাখি বেগম ও হেলেনা সহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজন ধারালো অশ্রু নিয়ে পারুল বেগম ও সালমার উপরে হামলা চালায়।এসময় প্রতিপক্ষরা পারুল বেগমকে কুপিয়ে ও সালমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে অপর পক্ষের হেলেনা বেগম (৫০) পাখি বেগম (৩০)ও মোকলেস (৫৫) আহত হয়ে শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ বিষয়ে দ্বিতীয় পক্ষের আহত মোকলেছ ও তার মেয়ে পাখি সাংবাদিকদের জানায় মোকলেসের ছোটভাই খলিলের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি জমা নিয়ে বিরত চলে আসছে।এদিকে মোকলেসের বোনের জামাই মনসুর তার ছোট ভাই খলিলের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে।
এ নিয়ে একটি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তার মেয়ে জামাই সোহাগকে এক লক্ষ্য টাকা চাঁদা হিসেবে দিতে বলে জানায় মোকলেস।আর এই চাঁদার টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে মনসুর, খলিল, আজাদ, আরিফ সহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন লোক তাদের পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

