Crime News tv 24
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মাধবপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে / অভিযোগ এনসিপি নেত্রীর।

(মো ইপাজ খাঁ বিশেষ প্রতিনিধি):-
অক্টোবর ১৬, ২০২৫ ৩:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা প্রশাসনের সরকারি-বেসরকারি কার্যক্রম থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেত্রী ও উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী আসমা আক্তার চৌধুরীকে বঞ্চিত রাখার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে আছমা আক্তার চৌধুরী লেখেন—

“সরকারি বেসরকারি সকল কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত মাধবপুর উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি! কার হাতে বন্দি উপজেলা প্রশাসন!”

এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে

ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। অনেকে মন্তব্যে প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, আবার কেউ কেউ বিষয়টি রাজনৈতিক কৌশলের অংশ বলেও মত দেন।

বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে আসমা আক্তার চৌধুরী বলেন,

“জাতীয় নাগরিক পার্টির হবিগঞ্জ জেলা কমিটি থেকেও ইউএনওকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে আমাদের কমিটিকে প্রশাসনিক কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও উপজেলা পর্যায়ে আমাদের কেউ কোনো অনুষ্ঠান বা সভায় ডাকা হয় না। এটি রাজনৈতিক বৈষম্যের শামিল।”

তিনি আরও বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করার এবং বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলার অধিকার আমাদের আছে। আছমা আক্তার চৌধুরী বলেন

“আমরা যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে নতুন সরকার এনেছি, আজ নিজেদেরই বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে। এটা শুধু আমার প্রতি নয়, পুরো দলের প্রতি অবিচার।”

এ প্রসঙ্গে মাধবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)জাহিদ বিন কাসেম জানান,“এনসিপির প্রতিনিধিরা সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন। কাউকে বাদ দেওয়ার কোনো নির্দেশনা বা উদ্দেশ্য প্রশাসনের নেই। যদি কোনো ভুল বোঝাবুঝি বা অভিযোগ থাকে, তা যাচাই করে সমাধান করা হবে।”

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন সরকারের সহযোগী দলগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কখনও কখনও তথ্য আদান-প্রদানে ঘাটতি বা যোগাযোগ সংকট তৈরি হয়, যা ভুল বোঝাবুঝির জন্ম দেয়।

এদিকে, আছমা আক্তার চৌধুরীর পোস্টটি ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকে মন্তব্যে তাঁর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং প্রশাসনের প্রতি ন্যায্য আচরণের দাবি জানিয়েছেন