গত বৃহস্পতিবার ২৫ সেপ্টেম্বর আনুমানিক দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে পাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলাধীন কানসাট পল্লী বিদুৎ মোড় এলাকায় মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) একটি বিশেষ টহল দল সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোনামসজিদ-শিবগঞ্জ সড়কে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর টহল দল একটি মোটরসাইকেলযোগে ০২ জন ব্যক্তিকে আসতে দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক টহল দল মোটরসাইকেলটিকে থামানোর সংকেত দিলে চালক গাড়ির গতি হালকা কমিয়ে থামানোর ভান করে। টহল সদস্যরা মোটরসাইকেল আরোহীর সাথে কথোপকথনের জন্য তার নিকটবর্তী হলে চালক সুযোগ বুঝে মোটরসাইকেল টান দেয়। তাৎক্ষণিক টহল কমান্ডার মোটরসাইকেল এর পেছনের যাত্রীর ব্যাগটি ধরে তাদের থামানোর চেষ্টা করলে ব্যাগটি কাঁধ থেকে ফেলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ফেলে যাওয়া ব্যাগ সন্দেহজনক মনে হলে টহলদল তা তল্লাশী করে ২৪ টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন দেখতে পায়। উল্লিখিত চোরাই মোবাইলগুলো পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য শিবগঞ্জ থানায় জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
উক্ত ঘটনায় আলমগীর আলী তার নিজস্ব ফেইসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে তার কথিত ব্যাগে থাকা ৮,০০,০০০/-টাকা বিজিবি ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অত্র ব্যাটালিয়ন এর নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য, সরকারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সদস্য এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়,আলমগীর আলী একজন ভারতীয় চোরাই মোবাইল ব্যবসায়ী এবং দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি এ ধরনের অবৈধ কাজের সাথে জড়িত। তিনি গত ২৫ বৃহস্পতিবার সেপ্টেম্বর চোরাকারবারীর নিকট হতে ২৪টি মোবাইল সংগ্রহ করেন এবং বিক্রির উদ্দেশ্যে কানসাট হতে শিবগঞ্জ অভিমুখে যাত্রা করলে পথিমধ্যে বিজিবি টহল দলের নিকট ব্যাগসহ ২৪টি মোবাইল আটক হয়।
উপরোক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দ্বার্থহীন ভাষায় বিজিবি বলতে চায়, মোঃ আলমগীর আলী কর্তৃক ফেইসবুক লাইভে প্রদত্ত অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, সাজানো গল্প এবং সু-শৃঙ্খল এই বাহিনীর সম্মান হানির সুস্পষ্ট অপচেষ্টা মাত্র।
চলতি বছরের জানুয়ারি ২০২৫ মাসে বিএসএফ কর্তৃক অবৈধ তারকাটা স্থাপন এবং ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশী গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে অত্র ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) সদস্যরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কৃষকসহ আপামর জনসাধারণকে সাথে নিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল, যা আজও দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মাদক ও অবৈধ চোরাচালানের বিরুদ্ধে সর্বদা দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করে আসছে। *মহানন্দা ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি) বিগত ০৩ বছরে ২৯১ জন আসামীসহ সর্বমোট ১০৭,২৫,৬৩,৯৯৬.০০ (একশত সাত কোটি পঁচিশ লক্ষ তেষট্টি হাজার নয়শত ছিয়ানব্বই) টাকার বিভিন্ন চোরাচালানী পণ্য আটক করেছে, যার মধ্যে ৩,৩২৪ টি অবৈধ ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন রয়েছে ,বিষয়টি গোলাম কিবরিয়া নিশ্চিত করেছেন। সরকার কর্তৃক বিজিবি’র উপর অর্পিত দায়িত্ব হিসেবে সার্বিকভাবে চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবি’র জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রয়েছে, যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।