টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাকনীয়াটা গ্রামের মিজান এবং তার স্ত্রী রওশনারা জানান, একই এলাকার প্রতিবেশী মৃত রওশন আলী ফকির এর ছেলে রফিকুল ইসলাম তাদেরকে নানা সময়ে নানা অত্যাচার ও ষড়যন্ত্র করে আসছে।তাদের নিজেদের জমিতে লাগানো গাছ কাটা নিয়ে তাদের সাথে রফিকুল এর সহিত বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে বিগত সাত বছরে রফিকুল ইসলাম সাতটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করে আসছে তাদেরকে। সকল মামলাই আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার। তারা আরও জানান, পুরানো সকল মামলা হেরে গিয়ে রফিকুল ইসলাম তাদের নাবালক ছেলের জীবন নষ্ঠ করার লক্ষে নতুন কৌশল অবলম্বন করে। গত ৩ জুলাই সকালে তাদের ছেলে স্বরণ সাইকেল নিয়ে তার নানীর বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার সময় বাড়ী হতে একটু দুরে মৌলবী বাড়ীর নিকটে রাস্তায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা রফিকুলের সাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে দুজনে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রফিকুল ইসলাম রাগান্বিত হয়ে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে স্বরনকে মারপিট করে। আমার ছেলেকে ফাসানোর জন্য সুচতুর রফিকুল ইসলাম হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে রফিকুল ইসলাম মিজান ফকির ও তার ছেলে স্বরনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যা সম্পুন মিথ্যা বানোযাট ভিত্তহীন বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার। রফিকুল ইসলাম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন যে স্বরন ও তার পিতা মিজান ফকির রফিকুল ইসলাম এর বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর ও মারপিট করেছে যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এব্যাপারে রফিকুল ইসলাম এর ভাই আঃ রশিদ, মুরাদ ও চাচাত ভাই হায়দার আলী জানান, রফিকুল ইসলাম একজন মামলাবাজ। সে যে সকল মামলা করছে সকল মামলাই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। রফিকুল ইসলাম শুধু মিজন ফকির নয় এলাকার অনেক লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। মিজান ফকির ও স্বরন এর নামে বাড়ীতে হামলা ভাঙচুর এর অভিযোগ এনে যে মামলা করছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেও তারা জানান। এব্যাপারে এলাকাবাসী জানান,
রফিকুল ইসলাম যে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।