খুলনার রূপসা ঘাট মাঝিদের অত্যাচারে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। উঠতি বয়সী যুবক ও টোকাইরা এখন রূপসা ঘাটের নিয়ন্ত্রণ করছে।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় পারাপারের লোকজনের সাথে প্রতিদিন এদের ঝামেলা ও তর্ক বিতর্কের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন ভূমিকা না নেওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে
ঘাট মাঝিদের এই খামখেয়ালির কারণে আর কত জীবন গেলে তারা শান্ত হবে তা কারো জানা নেই।
একাধিক সূত্রে জানাযায়, রূপসা ঘাট এলাকার নৌকা মাঝিদের দৌরাত্ম দীর্ঘদিনের।এরা নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামাফিক ভাড়া আদায় করে চলেছে।
১ টাকার ভাড়া বর্তমানে ৪ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে যা তাদের সম্পূর্ণ খাম খেয়ালী। রাজনৈতিক পালাবদলের সাথে সাথে এদের ভাড়ার পরিমাণ ও পরিবর্তিত হচ্ছে।
এরা আওয়ামী লীগের সময় আওয়ামী লীগ, বিএনপির সময় বিএনপির হাত ধরে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে এই অপকর্ম চালিয়ে আসছে।
এদেরকে প্রতিরোধ করার কোন ক্ষমতা যেন প্রশাসনের নেই।
ঘাটের পারানি ৪ টাকা করে হলেও পাঁচ টাকার কোন নোট বা কয়েন দিলে মাঝিদের আদায়কারীরা এক টাকা কখনো ফেরত দিচ্ছে না আর ওই এক টাকার জন্য কেউ তেমন মাথা ঘামায় ও না।
যে কারণে প্রতি ট্রলার থেকে মাঝিরা অতিরিক্ত আয় করছে ৪০ টাকা ।
আর এই বখাটেদের দুর্ব্যবহার থেকে রক্ষা পাচ্ছে না ডাক্তার ,সাংবাদিক, আইনজীবী, স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং মহিলারা।
সম্মান হারানোর ভয়ে এদের সাথে কেউ ঝামেলায়
জড়াতে চায় না।
বৃহস্পতিবার ৪ সেপ্টেম্বর এর বিকাল সোয়া ৫ ঘটিকায় রূপসা ঘাট পার হওয়ার সময় খুলনা জজকোর্টের এক আইনজীবী নৌকায় জনপ্রতি ১ টাকা বেশি নেওয়ার প্রতিবাদ করলে তিনি বখাটেদের হাতে লাঞ্চিত হন ।
ওই সময় রূপসা ঘাটের পূর্ব পাড়ে বসে থাকা শ্রমিক নেতা মহাব্বত ব্যাপারী কাছে ঐ আইনজীবী বিষয়টি জানালে তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে ট্রলারটি দ্রুত ওপারে পাঠিয়ে দেন।
পরে জানা গেল, ওই ট্রলারের মাঝি ও টাকা আদায় কারী দুজনই তাদের বহিরাগত ক্যাডার।এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।