রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপিকে ঘিরে নেমেছে গভীর ষড়যন্ত্রের কালো ছায়া। অভিযোগ উঠেছে—মনোনয়নপ্রত্যাশী ইসফা খায়রুল হক শিমুল ও জার্জিস হোসেন সোহেল পরিকল্পিতভাবে বিএনপির ভেতরে বিভক্তি তৈরিকরে ক্লিন ইমেজের নেতাদের বিরুদ্ধে হামলা এবং অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
শনিবার রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা সংবাদ সম্মেলনে এসব ভয়ঙ্কর অভিযোগ উত্থাপন করেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কৃষকদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হান্নান ও আলাউদ্দিন নামের বিএনপি নেতা।
তাদের বক্তব্যে বলেন শিমুল ও জার্জিস সোহেল ২৯ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে বিএনপি কর্মীদের উপর হামলা সংগঠিত করেছেন।এবং হামলার পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে উল্টো বিএনপির সৎ ও ক্লিন ইমেজধারী নেতাদের নাম ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা বিতর্কিত ব্যক্তিরা দলের ভেতরে বিভক্তি সৃষ্টি ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে লোক দেখানো সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
লিখিত বক্তব্যে হান্নান বলেন
গত ২৯ আগস্ট বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভায় হামলার ঘটনার পেছনে শিমুল ও সোহেলের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। হামলার ভিডিও, আলামত ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য আমাদের হাতে আছে।
দুর্গাপুরের পরিচ্ছন্ন নেতাদের অভিযোগ এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। উদ্দেশ্য স্পষ্ট—দলকে দুর্বল করা এবং ক্লিন ইমেজের নেতাদের বিতর্কিত করা তার লক্ষ্য ছিল।
তারা হুঁশিয়ারি দেন বিএনপিতে কোনোভাবেই অপরাধী, ষড়যন্ত্রকারী ও হামলাকারীর স্থান হবে না। পরিকল্পিত ভাবে দোষ চাপানোর চক্রকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপির ভেতরে এ ধরনের ষড়যন্ত্র শুধু অস্থিরতা নয়, বরং রাজপথের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে।
এ নৃশংস হামলার ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও দলের হাইকমেন্টের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা । তাদের অভিযোগ , হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।এবং দুর্গাপুর অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের তান্ডব সৃষ্টি করছেন । তাদের দাবি, অতি শীঘ্রই হামলা কারীদের যারা বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত তাদের বহিষ্কার ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে দুর্গাপুর পুঠিয়া অঞ্চলের এনপির রাজনীতিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা দরকার।