আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় খামারগুলোতে এখন চলছে চরম ব্যস্ততা। কোরবানির চাহিদা পূরণে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার খামারিরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রতিটি পশুকে সুস্থ, সবল এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে তারা নিচ্ছেন বাড়তি যত্ন।
খামারিরা বলছেন, এবার শুরু থেকেই বাজার ভালো থাকলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রামপুর গ্রামের খামারী সফিক বলেন, “এবার ১৫টি গরু প্রস্তুত করেছি। প্রতিটি গরু ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা দাম পরবে, প্রতিটি গরুর খাদ্য ও চিকিৎসার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কাঁচা ঘাস, খড়, খৈল ও গমের ভুষি ছাড়া অন্য কিছু গরুকে খাওয়াইনি আমি। ক্রেতারা এসে দেখে যাচ্ছেন, আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।”
দেবপুর গ্রামের খামারি মজনুর রহমান বলেন “আমি ১১টি দেশি গরু লালন পালন করেছি কোরবানির উপলক্ষে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা আসছেন।
মোটামুটি প্রতিটি গরু ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ করে দাম বলছেন তারা। তবে, এখনো কিছুদিন সময় আছে দেখা যাক। ” তবে, খামারিরা জানান, পশুর খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ নিয়ে কিছুটা সংশয়ে রয়েছেন তারা। তবুও ভালো দামে পশু বিক্রি হলে বছরের পরিশ্রমের ফল মিলবে বলে আশা করছেন তারা।