Crime News tv 24
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২১ আগস্ট ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলায় অফসিজন তরমুজের বাম্পার ফলন কৃষকে মুখে হাঁসির ঝিলিক।

মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা প্রতিনিধি:-
আগস্ট ২১, ২০২৫ ১১:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অফসিজন তরমুজ ব্যাপক আবাদ হয়েছে। এখন বৃষ্টির মৌসুম,মাঠ জুড়ে আমন ধান রোপনের হিড়িক, সমগ্র বিল জুড়ে মাছের ঘের, সেই মাছের ঘের জুড়ে রয়েছে মাচা,আর সেই ঘেরের আইলে লাগানো হয়েছে স্বপ্নের অফসিজন তরমুজ।

বর্তমানে ঘেরের মাচায় ঝুলছে কৃষকের স্বপ্ন অফসিজন তরমুজ। খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নকে বলা হয়ে থাকে তরমুজের বাজার নামে। বিল জুড়ে ঘের,ঘের জুড়ে মাচা, আর ঐ মাচার নিচে ঝুলছে কৃষকের কষ্টের ফসল কোটি কোটি তরমুজ। মাঠ জুড়ে এবার চাষ হয়েছে রিজেন্ট-২, বিগ আস্থা,আস্থা ডাবল প্লাস,নিউ বরিশাল,
তৃপ্তি, জাপান-২,ড্রাগন কিং জাতের তরমুজ চাষ হয়েছে। চলতি ২৪-২৫ অর্থ বছরে ৬৪০ হেঃ জমিতে অফসিজন তরমুজের আবাদ হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকা।

যা দেখে কৃষকের মুখে বইছ হাঁসির বন্যা। গাওঘরা ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার অঞ্জন কুমার বিশ্বাস বলেন, আমার ব্লকে রাজাখাঁ বিলে ৭৫০ বিঘা জমি আছে তার মধ্যে প্রায় ৫০০ বিঘাতে অফ সিজন তরমুজের আবাদ হয়েছে। ৪-৫ বছর আগে এই বিলে শুধু মাত্র মাছ আর ধান হতো। গত দুই বছর হচ্ছে এই বিলে অফসিজন তরমুজের চাষ। যার অর্ধেক জমিতে রয়েছে রিজেন্ট-২ জাতের তরমুজ।

এ বছর সুরখালী ইউনিয়নে ৬৪০ হেক্টর এর মধ্যে ৬০০ হেক্টর আবাদ হয়েছে । এ বছর অফসিজন তরমুজ চাষ করে কৃষকেরা লাববান হবে বলে আমরা কৃষি বিভাগ আশাবাদী। বুনারাবাদ ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সুরখালী ইউনিয়নে বিসি আরএল প্রকল্পের আওতায় ৪ টি তরমুজের কৃষক মাঠ স্কুল পরিচালিত হয়। প্রতি স্কুলে ৪০ জন করে কৃষক/কৃষাণী আছে। ৭ টি সেশনের মাধ্যমে তাদেরকে অফসিজন তরমুজ চাষের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

রাজাখাঁ বিল সহ সুরখালী ইউনিয়নে খড়িয়াল, রায়পুর,সুরখালী, ভগবতিপুর, সুন্দরমহল,শম্ভুনগর,বারোআড়িয়া,কোদলা,বুনারাবাদ, নাইনখালী,পার্শেমারী,বারোভুঁইয়া ও সানকেমারীতে অফসিজন তরমুজের চাষ করে কৃষকেরা এখন সাবলম্বী। তিনি আরও বলেন, বটিয়াঘাটা উপজেলায় উৎপাদিত অফসিজন তরমুজ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন
প্রান্তে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমরা কৃষি বিভাগ সর্বক্ষণ কৃষকের পাশে আছি। আমরা মাঠ পর্যায়ে প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ বিসিআরএল প্রকল্পের আওতায় ৫ টি কৃষক মাঠ স্কুল পরিচালিত হয়। ২০০ জন কৃষক / কৃষাণীকে বীজ সহায়তাসহ ৭ টি সেশনের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছি। আমরা কৃষি বিভাগ আশাবাদী আগামীতে বটিয়াঘাটা উপজেলায় অফসিজন তরমুজের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে। তবে বৃষ্টির সিজনে খরচ কম,যে কারণে কৃষক বেশি লাভ পায়,এজন্য শতভাগ কৃষক অফসিজন তরমুজ চাষে ঝুকছে।
সার্বিক বিষয় খুলনা কৃষি দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন,তিনটি উপজেলায় নতুন করে, ৬ টি উপজেলায় প্রতিটিতে ২ টা করে কৃষক মাঠ স্কুলের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলো তাড়াতাড়ি বাস্তবায়ন করা হবে।

এছাড়া খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৫ অর্থ বছরে খরিপ-১ মৌসুমে ৯ টি উপজেলায় ও ২ টি মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসে অফসিজন তরমুজের১১৪ টি প্রদর্শনী বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিটি প্রদর্শনীর আকার ৩৩ শতক। অফসিজন তরমুজ চাষিদের প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ ও তরমুজ চাষের উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। যে কারণে খুলনার তরমুজ চাষিরা অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে গত বছরের তুরনায় এ বছর অনেক লাভ পাবে কৃষকরা।