নারায়ণগঞ্জ সোনালী ব্যাংক, কর্পোরেট শাখা, চাষাঢ়ার নতুন টাকা গ্রাহকের হাতে না গিয়ে চলে যাচ্ছে টাকা ব্যবসায়ী চক্রের কাছে। আর পুরনো টাকা চলে যাচ্ছে গ্রাহকের হাতে। এমন অভিযোগ করেছেন অনেকে।
জানাযায়, নারায়ণগঞ্জ সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখা চাষাঢ়ার নতুন টাকার দায়িত্বে থাকা ভোল্ড ইনচার্জ আনিসুর রহমান নতুন টাকা গুলো টাকা ব্যবসায়ী চক্রকে অর্থের বিনিময়ে দিয়ে দেন। এ টাকা ব্যবসায়ীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাকে সহযোগিতা করছে ব্যাংকের কিছু কর্মচারী।কিন্তু গ্রাহকরা নতুন টাকা চাইলে বিভিন্ন কথা বলে পুরনো টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বিদায় করে দেন। আনিসুর রহমান প্রতিদিন টাকা ব্যবসায়ী চক্রের নিকট হতে ১০/১২ লাখ টাকা ছেড়া টাকা গ্রহণ করে থাকে। আর নতুন ৮/১০ লাখ টাকা বিক্রি করে দেয়।
নতুন টাকা বিক্রি করে ১ লাখ টাকায় সে একটা কমিশন পেয়ে থাকে। টাকা বিক্রি করে আনিসুর রহমান আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। একটি সূত্র জানায়, আনিসুর রহমান, ১০০ টাকা, ৫০ টাকা, ২০ টাকা, ১০ টাকা ও ৫ টাকার ছেঁড়া টাকার নোট গ্রহণ করে থাকেন।
এমনকি যেসব জেলার টাকা ব্যবসায়ীদের সাথে সে নতুন ও পুরাতন টাকা লেনদেন করে থাকে জেলা গুলো হচ্ছে, সিলেট, খুলনা, নোয়াখালী ও চাঁদপুর।
এর মধ্যে বেশি টাকা লেনদেন করে থাকে চাঁদপুর সদর উপজেলার মামুন পাটোয়ারী, নজরুল ইসলাম, সাদ্দাম, নাজির খান, আতিক ও মতলবের মামুনের সাথে। দীর্ঘদিন ধরে টাকা ব্যবসায়ী চক্রে মাধ্যমে টাকার ব্যবসা চলে আসছে বলে জানাযায়।
একটি প্রধান শাখা থেকে টাকা ব্যবসায়ী চক্রের মাধ্যমে সে এভাবে একা কিভাবে নতুন টাকা বিক্রি করে।হয়তো তাঁর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, বছরের দুটি ঈদের পূর্বে প্রতিদিন ৫০ লাখ টাকা টাকা ব্যবসায়ী চক্রের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়।
এব্যাপারে সচেতন মহল ব্যাংকের উধ্বতন কতৃপক্ষের ও দুদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।