আমরা হামলা-মামলা, জেল-জুলুম ও নির্যাতন সবই সহ্য করেছি-কিন্তু কখনো মানুষের পাশে দাঁড়ানো থেকে পিছপা হইনি।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন,শনিবার ১৫ নভেম্বর-২০২৫ বিকেলে গাংনীর বাঁশবাড়িয়া বাজার থেকে গণমিছিল শেষে সমাবেশে আমজাদ হোসেনের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আপনারা দীর্ঘদিন আমাকে পাশে রেখেছেন, আপনাদের সেই আস্থা ও ভালোবাসার কারণেই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন,ধানের শীষ শুধু আমার প্রতীক নয়-গাংনী উপজেলার প্রতিটি মানুষের প্রতীক।
আমজাদ হোসেন আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে একটি মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে,তিনি বলেন,এইসব অপপ্রচারে কান দেবেন না, আজকের মিছিলে নারী-পুরুষসহ হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে, এই উত্তাল জনতার ঢলই প্রমাণ করে মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে ধানের শীষকে ভোট দিয়ে জয় লাভ করবে।
তিনি জনগণের উদ্দেশে আহ্বান জানান-যারা এখনো সিদ্ধান্তহীনতা ও বিভ্রান্তির মধ্যে আছেন, তারা যেন ধানের শীষের পক্ষে এসে ঐক্যবদ্ধ হন,
বিএনপি একটি বড় দল, অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, কিন্তু দল যাকে উপযুক্ত মনে করেছে তাকেই মনোনয়ন দিয়েছেন,আমরা সবাই ধানের শীষের কর্মী-তাই ধানের শীষের বিজয়ের জন্য সবাইকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি ৩১ দফা পুনর্গঠনের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
শনিবার ১৫ নভেম্বর-২০২৫ গণমিছিলটি বাঁশবাড়িয়া বাজার থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে গাংনী বাজারস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
সমাবেশ ও গণমিছিলের সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মোল্লা,
এসময় বক্তব্য দেন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু,মেহেরপুর জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান, বিএনপি নেতা উপাধ্যক্ষ নাসির উদ্দীন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুর রহমান বুলবুল,মেহেরপুর জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসাইন এবং কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদসহ বিপুল-সহ বিএনপির নেতা-কর্মী।
মিছিল ও সমাবেশকে ঘিরে এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়, হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে গাংনী শহর ছিল জনসমুদ্রে পরিণত।

