ঢাকা পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড( ডিপিডিসি) স্কাডার তত্ববধায়ক প্রকৌশলী মো: রুহুল আমিন ফকির ডিপিডিসি দপ্তরকে নিজস্ব পৃত্বিক সম্পত্তি ভেবে দির্ঘদিন ডিপিডিসিতে কর্মরত থাকার সুবাদে দপ্তরটিতে হরিলুটের রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন।
দির্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগের তাঁবেদারি করে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের খেয়াল খুশি মতো ডিপিডিসি থেকে অর্থ লোপাটের হরিলুটের রাজত্ব কায়েম করেছেন, আওয়ামী লীগের নিতি নির্ধারকদের খুশি রাখতে আওয়ামী আমলে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর মাজারে ফুল দেওয়া থেকে শুরু করে প্রগ্যাম গুলোতে অর্থদিয়ে সহযোগিতা করতেন ডিপিডিসির স্কাডার তত্ববধায়ক প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন ফকির, ২০২৪ এর ৫ ই আগস্টের পরবর্তী সময়ে নিজেকে বগুড়ার সন্তান পরিচয় দিয়ে তার পুরনো দুর্নীতির কৌশল নতুন করে পরিচালনা করছেন। এখন নিজেকে বিএনপি মাইন্ডের দাবী করে ডিপিডিসির স্কাডায় নিয়মিত নিয়োগ বানিজ্য, বদলী বানিজ্য, তদবীর বানিজ্যর মাধ্যমে প্রতিনিয়তো অবৈধ ভাবে দেদার্সে হরিলুটের রাজত্ব কায়েম করেন।
মোঃ রুহুল আমিন ফকির এতোটায় দুর্নীতিবাজ যে কিনা সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির সহকারী প্রকৌশলী থাকা কালিন সময়ে প্রতিটি অটোরিকশা গ্যারেজের মালিক পক্ষকে বিদুৎ চুরির কৌশল শিখিয়ে প্রতি মাসে মাসোহারা গ্রহন করতেন, তিনি সরাসরি গ্রহকদের কাছ থেকে টাকা গ্রহন করতেন বলে এক গ্রহক তার এ কাজের জন্য প্রতিবাদ করেও কোন সুফল পায়নি। তার এই কাজে সহযোগী করতেন কয়েকজন উপসহকারী প্রকৌশলী এবং লাইন ম্যান, সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির সকল প্রকার কাজে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উৎকোচ গ্রহন করে নিজস্ব পেটুয়া বাহিনী দ্বারা কাজ সম্পূর্ণ করতেন।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করে সেখান থেকেও প্রায় ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহন করে বলে জানিয়েছেন সে সময়ে দপ্তরটিতে চাকুরী করা এক করমকর্তা।
শীতলক্ষ্যা নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা কালিন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহন করে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ ভাবে ১৮ প্যান লাইন টেনে কাজ সম্পূর্ণ করার অভিযোগ থাকলেও তার ক্ষমতার কাছে ডিপিডিসির সবাই সে সময়ে অসহায় হয়ে পরেন।
ডিপিডিসির স্কাডা তত্ববধায়ক প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন ফকির এতো সব অনিয়ম দুর্নীতি করেও স্বপদে বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন।
তিনি নিজ জেলা বগুড়াতে স্ত্রী সন্তান সহ নিকটস্থ আত্নীয় স্বজনদের নামে প্রায় ১০০ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন বলে তার নিকটস্থ এক আত্নীয় নিকট থেকে জানা গেছে। ঢাকা শহরের রামপুরা বনশ্রী, গুলশান, মিরপুর সহ বিভিন্ন জায়গাতে নিজ নামিও এবং স্ত্রী সন্তানেড নামে ফ্ল্যাট, প্লট সহ বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যর এফডিআর সঞ্চয়পত্র রয়েছে বলে জানা গেছে। তার সম্পদের বিবরণ সহ অনিয়ম দুর্নীতির দেখতে চোখ রাখুন ২য় পর্বে……চলবে

