গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুস সুবাহান সুলতান জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আরও ৫জন আইনজীবী জামায়াতে যোগদান করেছেন।
ময়মনসিংহ মহানগরীর নতুন বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এক সেমিনারে এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের পেশাজীবী থানা শাখার কার্যালয়ে বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল ময়মনসিংহ বার ইউনিটের আয়োজনে ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন’ শীর্ষক এই সেমিনার চলছিল।
গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুস সুবাহান সুলতান ছাড়াও জামায়াতে যোগ দেওয়া অন্য আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শামিম হাসান এবং অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান। অন্য একটি সূত্রে অ্যাডভোকেট দেবব্রত নাগ ও অ্যাডভোকেট শিমুলেরও যোগদানের কথা জানা গেছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ল’ইয়ার্স কাউন্সিল ময়মনসিংহ ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম আমানউল্লাহ বাদল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, ময়মনসিংহ মহানগর আমির ও ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট সাকিন মো. শহিদুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকার এটিএম সারোয়ার হোসেন এবং মহানগর জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক গোলাম মহসিন খান।
জামায়াতে যোগদানকারী সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন প্রধান অতিথি মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল ও অন্য নেতারা।
যোগদানকারী সদস্যরা জানান, আইনজীবীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বিচারপ্রার্থী মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং ইনসাফনির্ভর রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন তারা।
ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেন, তারা যে লক্ষ্য নিয়ে এসেছেন– ইনসাফপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, আইনজীবীদের অধিকার নিশ্চিত করা এবং বিচারপ্রার্থী মানুষের পাশে থাকা– এই লক্ষ্য অর্জনে জামায়াতে ইসলামী সবসময় আপসহীন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, তাদের মতো জ্যেষ্ঠ ও বিজ্ঞ পেশাজীবীদের যুক্ত হওয়া আমাদের এই সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী ও বেগবান করবে।’
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন বলেন, ‘বিষয়টি আমার ভালো করে জানা নেই। তবে যারা যোগদান করেছে বলে শুনেছি, তারা বিএনপিতে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে ছিলেন না। ৫ আগস্টের পরে তারা হয়তো বিএনপিতে সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন। ব্যক্তিগত সুবিধা না পেয়ে তারা হয়তো জামায়াতে চলে গেছেন।