জাতীয় সংসদীয় বাগেরহাট-০৪ আসন বিলুপ্ত ও বাগেরহাট-০৩ আসন বিভাজনের প্রতিবাদে বাগেরহাট জুড়ে চলছে সর্বাত্মক হরতাল, অবরোধ। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির ডাকা তৃতীয় দফার এ অবরোধ কর্মসূচি চলমান থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জেলাজুড়ে সর্বাত্মক অবরোধ ও হরতালের কারণে সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ইপিজেড, শিল্প-কলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, খেয়া ও ফেরি পারাপার বন্ধ রয়েছে। বন্দর জেটির কার্যক্রম ও খুলনা-মোংলা মহাসড়ক পথে এ বন্দরের পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও সরকারি বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
আসন পুনর্বহালের দাবিতে অবরোধ সফল করতে ভোর ৫ টা থেকেই উপজেলার সড়ক-মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সর্বস্তরের জনতা। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে এসেছেন। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষদের রাস্তায় রাস্তায় অবস্থান নিতে দেখা যায়। অবরোধের কারণে বাগেরহাটের কোনো উপজেলা থেকেই ভোরে দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। চলছে না অভ্যন্তরীণ কোন যান। জরুরি প্রয়োজনে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। হাট-বাজার ও দোকান-পাট খোলা না থাকায় জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো, সিইসি’র আসন কর্তন ও পুনর্বিন্যাসের কারণে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। তারা সিইসি’র এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তারা আরো জানিয়েছেন, সিইসি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে সর্বাত্মক এ অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচিসহ কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে। যতক্ষণ তারা বাগেরহাটের ৪ টি আসন ফিরে না পাবেন, ততক্ষণ কর্মসূচী চলমান থাকবে বলে জেলা বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক আ. সালাম সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।