ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের তদন্তে সহযোগিতা করলেও এখন উল্টো হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন আপন বড় ভাই তোজাম্মেল হক। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার যাদুরাণী বাজারে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি ও তার পরিবার।
গত শনিবার বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তোজাম্মেল হক জানান, গত ১৮ মে তার ছোট ভাই মোজাম্মেল হক বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা উপজেলার খাকরতলা সাকিসহ কুদ্দুস আলীর বাড়ির পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশটি শনাক্ত করে এবং এটি মোজাম্মেল হকের বলেই নিশ্চিত হয়।
তোজাম্মেল হক বলেন, “পরিবারের সবাই লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, কিন্তু আমি চাইছিলাম ময়নাতদন্ত হোক, যাতে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যায়। যদি এটি হত্যাকাণ্ড হয়, তাহলে যেন প্রকৃত দোষীকে শনাক্ত করা যায়। আমার অনুরোধে পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তে পাঠায় এবং একটি ইউডি মামলা দায়ের করে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এ ঘটনার কিছুদিন পর স্থানীয় আইয়ুব আলীসহ কয়েকজন তার দোকানে এসে হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন। তারা বলেন, “তোমার ভাইয়ের লাশ কেন পোস্টমর্টেম করিয়েছো, তোমাকে দেখে নেব।” এ বিষয়ে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।
তোজাম্মেল হকের দাবি, এই অভিযোগের জের ধরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার ভাতিজা আদালতে একটি মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করে, যাতে তাকে এবং তার পরিবারের আরও তিন সদস্যকে আসামি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান।