মোঃ কামাল হোসেন প্রধান জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী:-
নরসিংদী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম একটি সাহসী ও নাগরিকবান্ধব বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন সরকারি রাস্তা থেকে চাঁদা তুলার কারো অধিকার নেই। উনার এই বক্তব্য স্থানীয়ভাবে চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন।সাধারণ মানুষের পক্ষে দাঁড়ানোর একটি অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে তিনি।
নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তি সরকারি রাস্তা ও জনসাধারণের সম্পত্তি ব্যবহার করে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করছিল। রিকশা ,অটো রিকশা চালক,ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দিনমজুরদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ নেওয়া হতো প্রতিদিন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম সরেজমিনে গিয়ে এই অসাধু কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
নরসিংদীতে এই প্রথম একজন পুলিশ কর্মকর্তা সরাসরি খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে কথা বলায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। উনার এই বক্তব্য চাঁদা আদায়কারীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন। এতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়াতে এই ধরনের স্পষ্ট ও ন্যায়নিষ্ঠ ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন অসহায় সাধারণ মানুষ। স্থানীয় অটোরিকশা, রিকশাচালক ও দোকানিরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম এর এই স্পষ্ট অবস্থান এর জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একজন অটোরিকশাচালক বলেন, আমরা বছরের পর বছর চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছিলাম,কিন্তু কেউ আমাদের পক্ষে কথা বলেনি। আজ একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমাদের পাশে দাঁড়ালেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম এর এই পদক্ষেপ পুলিশ বাহিনীর মধ্যে পেশাদারিত্ব ও জনসেবার মানসিকতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। উনার এই মহৎ কাজ নরসিংদীর পুলিশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন। অন্যান্য অফিসারদেরও জনগণের সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত জাগাবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। এএসপি শামিমের নেতৃত্বে সদর সার্কেল পুলিশ এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে যাতে কোনো ধরনের অবৈধ অর্থ আদায় করিতে না পারে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম এর এই সাহসী ও ন্যায়নিষ্ঠ ভূমিকা শুধু নরসিংদীবাসীর জন্যই নয়, সারাদেশের জন্য একটি অনুকরণীয় উদাহরণ।
উনার এই বক্তব্য ও পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে,সৎ ও সাহসীক প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সমাজের অবিচার দূর করতে পারেন। নরসিংদীবাসী এখন আশা করছেন যে,এই ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।