রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা অংশ নিয়েছে।
নিহত.
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
পাইলট তৌকিরের মৃত্যু.
প্রশিক্ষণ বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর মারা গেছেন। সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সম্মিলিতি সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর।
আহত.
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক, যাদের বেশিরভাগই মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষার্থী। গুরুতর দগ্ধদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার সময়.
প্রশিক্ষণ বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মাথায় ১টা ১৮ মিনিটে মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে আছড়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার স্থান.
ঢাকার উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
বিমান.
বিমানটি ছিল বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটিতে একজনই পাইলট (ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর) ছিলেন।
উদ্ধার কার্যক্রম.
ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও উদ্ধার কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে।
জাতীয় শোক.
এ মর্মান্তিক ঘটনায় ২২ জুলাই এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
হটলাইন.
উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় জরুরি সেবা দিতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে হটলাইন নম্বর 01949043697 চালু করা হয়েছে।
জরুরি বার্তা”
১/ঢাকা মেডিক্যাল বার্ন ইউনিট
২/কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল
৩/উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ
৪/কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল
৫/উত্তরা উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ
৬/মনসুরআলী মেডিকেল কলেজ
উত্তরার হাসপাতালগুলোতে রক্ত লাগবে।রক্তদানে আগ্রহীরা এই হাসপাতাল গুলোতে আসুন, প্রচুর রক্ত প্রয়োজন। এ রক্ত আহতদের জন্য।