একজন সহজ-সরল রিকশাচালক রিপন ও তার স্ত্রী সালমা, যিনি মানুষের বাসায় কাজ করেন—তারা সম্প্রতি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। আদাবর, নবোদয় হাউজিং এলাকায় চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী গত তিনদিন ধরে রিপনের কাছে নিয়মিত চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদাবাজদের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই এলাকায় রিকশা চালাতে হলে তাদের “চাঁদা” দিতে হবে।
ভয়ে তারা বাসা ছেড়ে আশ্রয় নেন অপর এক আত্মীয়ের বাসায় এবং সাহায্যের জন্য এস এম মোমো, সভানেত্রী, মোমো নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র-এর শরণাপন্ন হন। তিনি বিষয়টি অবহিত করেন জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা-কে। এরপর পুলিশের সহায়তায় সালমা ও রিপনকে উদ্ধার করে নিরাপদে তাদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এস এম মোমো জানান, “আমি নিজেও আজ সন্ত্রাসীদের নজরে পড়েছি, তারা আমাকে ফলো করেছে। কিন্তু আমি ভয় পাই না। মানুষের কল্যাণে কাজ করাই আমার অঙ্গীকার। এই ঘটনার পর আমি এলাকাবাসী বিশেষ করে মহিলাদের আশ্বস্ত করেছি—তাদের পাশে সবসময় থাকব ইনশাল্লাহ।”
এ ঘটনাটি শুধু এক পরিবার নয়, গোটা সমাজের নিরাপত্তাহীনতার একটি প্রতিচ্ছবি। জাতীয় মানবাধিকার সমিতি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই—অবিলম্বে আদাবর ও নবোদয় হাউজিং এলাকায় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
আর আপনার সাহসিকতা ও মানবসেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক—এই কামনা করি।