গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১১নং গিদারী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড় ঘেঁষে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদে সেখান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে,তারা কবরস্থানের সাইনবোর্ড লাগিয়ে অন্যের বসতভিটা উত্তোলন করে।গত ৮/১০ মাস আগে দিন-রাতে একাধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে তারা এ বালু উত্তোলন করেন। ফলে নদীর পাড় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় নদীর তীরে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরবাড়ি ও বাসিন্দারা ঝুঁকিতে রয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আবারও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে এ কার্যক্রম চলছে প্রশাসন তা বন্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। স্থানীয় ভূমি অফিসের দাবি,বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তা না মেনে বিএনপির ক্ষমতার প্রভাবে কোন তোয়াক্কা করছেন না।
জানা গেছে, গিদারী ইউনিয়নের আনালের ছড়া গ্রামে নদীর পাশে হয়েছে সরকার নির্মিত রাস্তা আশ্রয়ণ কয়েক শতাধিক ভূমিহীন পরিবার বসবাস করছেন। কিন্তু ওই আশ্রয়ণের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী থেকে ৮ ওয়াড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ, আলতাব হোসেন সেক্রেটারি ,৮ নং ওয়ার্ড ও মনি সহ নেতৃত্বে গত দুই দিন ধরে বালু উত্তোলন প্রস্তুতি করা হচ্ছে। প্রতিদিন ড্রেজার মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা এ বালু বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন। এমনকি ওই এলাকায় নির্মাণাধীন বিভিন্ন বাড়িতে বালু তারা বিক্রি করছেন।
রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নদীর তীরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের মচ্ছব চলছে। কয়েক একর জমির উপর বালুর বড় বড় স্তুপ দেখা গেছে। এসময় বালু কারা উত্তোলন করে মেশিন অপারেটর কবিরের কাছে জানতে চাইলে তারা ৮ নং ওয়াড সাংগঠনিক সম্পাদক বিএনপির নেতার কথা বলেন
এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে ৮ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ, পিতা মৃত দুলা মিয়ার ছেলে, বলেন আমি বালু উত্তোলন করব যদি কারো কোন এ বিষয়ে কথা বলে কোন লাভ হবে না আমরা যা বলব এখন থেকে তাই হবে।
এলাকাবাসীরা জানান, রাজনৈতিক দলের নেতারা এখনই ক্ষমতায় না থেকেও দাপট দেখিয়ে নদীর বালু বেপরোয়াভাবে উত্তোলন করছেন। তারা দিনরাত মেশিন বসিয়ে বালু তুলে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এতে নদীর তীরবর্তী আশ্রয়ণ আশপাশের ঘরবাড়ি ও জমি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ছে।
তাদের অভিযোগ, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নাকের ডগায় দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালু তোলা হলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বালু উত্তোলনের ফলে তারা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে ঘরগুলো মাটিতে দেবে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
এদিকে এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সুশীল সমাজ ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই খুব শিঘ্রই সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।