পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার নদমূলা-শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের নদমূলা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতারণা, হুমকি এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা ও এলাকাবাসী।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে ভাণ্ডারিয়া থানার প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, নদমূলা গ্রামের আলী আহমদ গাজীর ছেলে আলমগীর হোসেন বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কর্মরত। এই পরিচয় ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে তিনি গত দুই বছরে সরকারি চাকরি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিভিন্ন ভাতা ও সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অনুযায়ী, মামুন সরদারের আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে ৫ লাখ, ইব্রাহিম হাওলাদারের কাছ থেকে ৩ লাখ, এবং হোসেন গাজী ও জাকির খানের কাছ থেকে মোট ৭ লাখ টাকা নেন আলমগীর। এছাড়াও গভীর নলকূপ, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আরও অনেকের কাছ থেকেও অর্থ নিয়েছেন তিনি।
বক্তারা আরও জানান, টাকা ফেরত চাইলে আলমগীর হুমকি দেন, মারধর করেন এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখান। প্রবাসী মো. লোকমান গাজীর পরিবারের ওপর হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং জমি দখলের অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, আত্মসাৎ করা অর্থে আলমগীর খুলনা ও বাগেরহাটে দুটি বাড়ি কিনেছেন। তার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন ও সামাজিক অবক্ষয়ের অভিযোগও রয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মো. লোকমান হোসেন গাজী, মো. মজিবুর রহমান মোল্লা, মো. ইব্রাহিম হাওলাদার, মো. কাওছার হোসেন সরদার, মো. হোসেন গাজী, মো. মামুন সরদার, মো. কবির খান, পপি আক্তার ও মোসাঃ সাথী আক্তার।
বক্তারা দ্রুত আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।