কলাপাড়া থানাধীন বালিয়াতলী গ্রামে মিডিয়ার সামনে ভাইর ছেলেদের অপকর্মের কথা তুলে ধরায় চাচাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।এতে মোতাহার তালুকদার (৭৭) ও তার পুত্রবধূর ঝিনুক (৩৫) গুরুত্বর জখম হয়।আহত মোতাহার তালুকদার বালিয়াতলী গ্রামের মৃত মোজাফফর তালুকদারের ছেলে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কলাপাড়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। সেখানে গুরুত্বর আহত মোতাহার তালুকদারের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।আহত সূত্রে জানা গেছে মোতাহার তালুকদারের ভাই মৃত মোক্তার তালুকদারের ছেলেদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমি জমা নিয়ে বিরত চলে আসছে।
মোক্তার তালুকদারের ছেলে জাফর তালুকদারের জমির লাগানো গাছ গত ২৫ তারিখ তার সৎ ভাই বেল্লাল তালুকদার, জালাল তালুকদার ও জামাল তালুকদার জোরপূর্বক কেটে নেয় ও জমি দখল দেয়। এতে জাফর তালুকদার বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষ বেল্লাল, নিলয়, শুভ, জালালসহ অজ্ঞত ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জাফর তালুকদারের উপর হামলা চালায়।
এ নিয়ে জাফর তালুকদার একটি মামলা দায়ের করে ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদটি জানতে পেরে তাদের বাড়িতে এসে মুল বিষয়টি জানার জন্য বাড়ির বৃদ্ধ মোতাহার তালুকদারের কাছে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করে।এ সময় মোতাহার তালুকদার মিডিয়ার সামনে সত্য কথা বললে ক্ষিপ্ত বেল্লাল তালুকদার ও তার গংয়েরা।সত্য কথা বলায় মিডিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেল্লাল তালুকদার তার ছেলে নিলয়, শুভ, জালালসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন মোতাহার তালুকদারকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এ সময় মোতাহার তালুকদারের পুত্রবধূ ঝিনুক তাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও পিটিয়ে গুরুত্বর রকম করে।পরে ৯৯৯ ফোন দিয়ে কলাপাড়া পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।এ ঘটনায় নিলয় নামের একজনকে আটক করে কলাপাড়া থানা পুলিশ। বর্তমানে আহত মোতাহার শেবাচিমের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।