Crime News tv 24
ঢাকাশনিবার , ২৮ জুন ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঝিনাইদহে হাত বাড়ালেই মিলছে সুই-সিরিঞ্জের মারাত্মক মাদক প্যাথেডিন ও মরফিন।

admin
জুন ২৮, ২০২৫ ১১:১২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

 

এম.মাসুম আজাদ,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:-

ঝিনাইদহে হাত বাড়ালেই মিলছে প্যাথেডিন ও মরফিনের মতো মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ ইনজেকশন মাদক। যে কেউ ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই ‘ক’ শ্রেণীর মাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ইনজেকশন প্যাথেডিন ও মরফিন কিনছে। যদিও ডেঞ্জারাস ড্রাগস (ডি,ডি) লাইসেন্সধারী ছাড়া অন্য কেউই প্যাথেডিন ও মরফিন বিক্রয় করতে পারবে না।
ডেঞ্জারাস ড্রাগস (ডি,ডি) লাইসেন্সধারীকে প্যাথেডিন ও মরফিন ক্রয়কারী ব্যক্তির ব্যবস্থাপত্র সংরক্ষণ করে তা নির্ধারিত রেজিস্টারে বিবরণী আকারে লিখে রাখতে হয়। ফলে কোনো সময় মাদক পরিদর্শকরা যাচাই করে দেখতে পারেন এর কোনো অপব্যবহার হয়েছে কি না। কিন্তু এই সকল নিয়মনীতির বালাই নেই ঝিনাইদহে। অধিকাংশ অসৎ ফার্মেসী ব্যাবসায়ীরাই কোনো প্রকার লাইসেন্স ছাড়াই বিক্রি করছেন প্যাথেডিন ও মরফিন। ঝিনাইদহের বিভিন্ন ক্লিনিকের অসৎ কর্মচারী, সদর হসপিটালের কর্মচারীরাও দেদার্সে মাদকাসক্তদের কাছে বিক্রি করছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায় ঝিনাইদহে প্যাথেডিন ও মরফিন ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে, ২০ টাকার ঔষধ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায়, শহরের হামদহ্ এলাকা, কাঞ্চনপুর, ব্যাপারী পাড়া, পাগালাকানাই,আরাপপুর, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অধিক লাভের আশায় লাইসেন্স না থাকার পরেও অধিকাংশ ফার্মেসী ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারি গোপনে বিক্রি করছেন প্যাথেডিন ও মরফিন।

সহজলভ্য হবার কারণে ঝিনাইদহে দিন দিন বাড়ছে এই মাদকের অপব্যবহারকারীর সংখ্যা, সেই সাথে নেশার টাকা জোগাড় করতে মাদকাসক্তরা চুরি,ছিনতাই,ডাকাতি এমনকি খুনখারাবি পর্যন্ত করছে।
প্যাথেডিন একদিকে যেমন বেদনানাশক ওষুধ, তেমনি প্রচণ্ড নেশা সৃষ্টিকারী। দীর্ঘদিন প্যাথেডিন ইনজেকশন ব্যবহারের ফলে নেশাসক্ত ব্যক্তির পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং পরিণামে মৃত্যু ঘটে। এ জন্য এর অপব্যবহার রোধ করতে মাদক আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ অনুসারে সরকারি নিবন্ধন ছাড়া প্যাথেডিন ও মরফিন উৎপাদন এবং বিক্রি করা যায় না, তেমনি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কেউ তা ব্যবহারও করতে পারে না।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর ও জেলা ঔষধ প্রশাসন মোটা অংকের মাসোহারা নিয়ে থাকেন ঔষধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে, যার কারণে শহরে সুই-সিরিঞ্জের মাদকের ছড়াছড়ি হলেও কখনো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঔষধের ফার্মেসীতে প্যাথেডিন ও মরফিনসহ কাউকে আটক করতে বা উদ্ধার করতে দেখা যায় না।
এছাড়াও জেলা ঔষধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো নজরদারি বা পদক্ষেপ নিতেও দেখা যায় না। ফলে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে বাড়ছে প্যাথেডিন ও মরফিনের মতো ভয়াবহ ইনজেকশন মাদকের প্রকোপ।

স্থানীয়দের দাবি, ঔষধ প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই বিষয়ে ব্যাপক তৎপরতার সাথে কাজ করতে হবে,নিয়মিত বিভিন্ন ফার্মেসী,ক্লিনিক, হাসপাতালে অভিযান পরিচালিত করতে হবে। দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হলে অনেকেই অবৈধ কারবারি থেকে সরে দাঁড়াবে।

সেই সাথে এই মরণ নেশা প্যাথেডিন ও মরফিন মাদকের বিস্তার করতে অসৎ উপায়ে কারা ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে তাদেরকেও চিহ্নিত করে চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।