নাগেশ্বরীর কচাকাটা থানা অভ্যন্তরে কোর্ট পিটিশন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে বাদীকে লাথি ও জুতা পেটানোর অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে সেটি সঠিক তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে জেলা পুলিশ।
তদন্তে অভিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজার রহমান।
জানা গেছে- বুধবার (২৫ জুন) কোর্ট পিটিশন মামলার বাদী হোসেন আলী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কচাকাটা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে লাথি ও জুতাপেটা করে শার্টের কলার ধরে থানা থেকে বের করে দেয়া অভিযোগ তোলে। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে ঘটনা তদন্তে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ভূরুঙ্গামারী-কচাকাটা সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাসুদ রানার নেতৃত্বে সিআইডি ইন্সপক্টর (অপরাধ) মাসুদ রানা এবং ডিএসবি ইনচার্জ আলমগীর হোসেনকে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা পুলিশ। তদন্ত কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদীর অভিযোগের আলোকে থানার নিজস্ব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময় বাদী ও অভিযুক্ত এসআই মামুনুর রশীদের বক্তব্যও নেয়াসহ সকল পক্ষের সাথে কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
তদন্তে সাক্ষ্য প্রদান করেন বাদী হোসেন আলী ও তার বড় ভাই হাছেন আলীসহ তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই মামুনুর রশীদ বাদীর সাথে কথা-কাটাকাটির বিষয়টি অকপটে স্বীকার করলেও মারপিটের অভিযোগটি অস্বীকার করেন।
ওসি নাজমুল আলম বলেন- সাক্ষ্য প্রমাণে বাদীর অভিযোগের কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার সংশ্লিষ্ট সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই ও বিশ্লেষণ করেছেন তদন্ত কমিটি। বাদী হোসেন আলী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন। তার অভিযোগের সকল দিক যাচাই বাছাই করে সত্যতা পাওয়া যায়নি। মূলত তার করা পিটিশন মামলার প্রতিবেদন তাদের চাহিদা ও পছন্দমাফিক না হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বিব্রত করতেই এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
এসপি মাহফুজুর রহমান বলেন- অভিযোগকারী হোসেন আলী যে অভিযোগ করেছেন তা নির্জলা মিথ্যা। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি সাক্ষ্য প্রমাণে পাশাপাশি থানার সিসি টিভির ফুটেজ যাছাই বাছাই করেছে। ন্যূনতমও সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ ধরণের অভিযোগ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করে। এজন্য সকল পক্ষকে আরও বেশি দায়িত্বশীল আচরণ করার অনুরোধ থাকবে।