ঢাকা পাওয়ার ডিস্টিবিশন কোম্পানি ( ডিপিডিসি)তে চাকুরীর সুবাদে অধিকাংশ প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী থেকে শুরু করে একজন গাড়ির ড্রাইভার পর্যন্ত অসৎ পন্থা অবলম্বন করে অবৈধ পথে হয়েছেন শত কোটি টাকার মালিক।
ঠিক এমনিই একজন ডিপিডিসির এনওসিএস মাউতাইল শাখার উপ সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (১১৪০০),তিনি ডিপিডিসির চাকুরী পাওয়ার পরে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি, সৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিজ দপ্তরে আওয়ামী ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে টেন্ডার বানিজ্য, গ্রাহকের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায় সহ বিভিন্ন ভূয়া বিল তৈরি করে ডিপিডিসি থেকে অর্থ আত্তসাদ সহ সকল প্রকার দুর্নীতি ও অপরাধের রাজত্ব তৈরি করে রাজধানী ঢাকা সহ তার নিজ জেলা বি- বাড়িয়াতে গড়েছেন শত কোটি টাকার মূল্যার সম্পদের পাহাড়।
ডিপিডিসির এনওসিএস মাউতাইল শাখার উপ সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বি- বাড়িয়া জেলার অতি নিম্ন বৃত্ত দিন মজুর পরিবারের সন্তান হয়েও আওয়ামী লীগের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতি দোমন কমিশন(দুদক) এর চোখ ফাঁকি দিয়ে
ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে বাড়ি, গাড়ি প্লট, ফ্ল্যাট, জমি সহ নগদ অর্থের মালিক হয়েছেন।
বিগত দিন গুলোতে আওয়ামী লীগের দাপট দেখিয়ে ঘুষ দুর্নীতির মহা উৎসব পালন করলেও, এখন উপদেষ্টা সরকারের আমলে ভোল পাল্টিয়ে কোন এক অদৃশ্য ক্ষমতার বলে মাউতাইল এনওসিএস নিজ দপ্তরে ওপেন সিন্ডিকেট বানিজ্যর মহা উৎসব পালন করেছেন, ডিপিডিসিতে তিনি এতোটাই বেপরোয়া যে তার বিরুদ্ধে কোন কর্মকর্তা- কর্মচারী মূখ খুললে তাকে পড়তে হয় মহা বিপদে,যার যথেষ্ট নজির ডিপিডিসির কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারীর সাথে কথা বল্লেই যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। ডিপিডিসিতে তিনি এতোটাই শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন যে তার ইশারাতে ডিপিডিসির একটি অংশের পোস্টিং তার ইশারাতে হয়ে থাকে।
এবং তিনি চাকুরীর শুরু থেকে ডিপিডিসির লাভ জনক স্থানে পোস্টিং বাগিয়ে নিতেন, এ পর্যন্ত যতো বার এই দুর্নীতিবাজ উপ সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বদলী হয়েছেন তার ইচ্ছে মতো জায়গাতেই রয়েছেন। ডিপিডিসিতে অদৃশ্য ক্ষমতার কারনে এখনো রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে, উপ সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান অতি নিম্ন বৃত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও চাকুরীর সুবাদে ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে হয়েছেন প্রায় শতকোটি টাকার মালিক, তার সম্পদের কয়েকটি অংশের বিবরণ দেওয়া হলো
কামরুজ্জামান নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছেন বিলাশ বহুল বাড়ি,যার আনুমানিক বাজার মূল প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা, পরিবারের সদস্যদের জন্য ক্রয় করেছেন ২ টি বিলাশ বহুল গাড়ি, কাঠালবাগান চন্দ্রিমা ১২ নাম্বারে ক্রয় করেছেন ২ টি বিলাশ বহুল ফ্ল্যাট, গুলশানে ক্রয় করেছেন ১ কোটি টাকা মূল্যার ফ্লাট নিজ জেলা বি- বাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে নামে বে- নামে ক্রয় করেছেন ১০০ বিঘার উপরে সম্পদ।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ক্রয় করেছেন বিশাল বহূল আরো ১২ টি ফ্লাট, নিজস্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত নিম্ন মানের পণ্য ডিপিডিসিতে নিজের আওয়ামী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরবরাহ করা, সহ বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে সরকারী কোষাগার থেকে টাকা উত্তলন। বিভিন্ন ফাইল আটকিয়ে দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায়।
নিজ স্ত্রী সন্তান এবং নিকটস্থ আত্নীয়ের নামে বিভিন্ন জায়গাতে জমি এবং নগর অর্থ গচ্ছিত রাখা সহ নিজের এক স্বশুর কুলের আত্নীয়র মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার সহ……চলবে