মহিপুর থানাধীন কুয়াকাটার তুলাতলী গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরত্বর জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এ সময় আহতদের মারধর করে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায় প্রতিপক্ষরা।
গত শুক্রবার সকাল ১০টায় ফরাজী বাড়িতে বসে হামলার ঘটনা ঘটে।এতে বকুল বেগম (৩৬)মাসুরা বেগম (৫০) বাদশা ফরাজী (৪৬) কহিনুর বেগম (৩৮)ও বাদল (৫০)গুরুতর জখম হয়।আহত্বরা কুয়াকাটার তুলাতলী গ্রামের মৃত সাখাওয়াত ফরাজীর ছেলে মেয়ে। আহাত সূত্র জানা গেছে আহত বাদশা ফরজীর সাথে কুদ্দুস ফরাজী ও ইউনুস ফরাজী গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
এ নিয়ে উভয়পক্ষের আদালতে মামলা হলে বাদশা ফরাজি গংদের পক্ষে রায় আসে।এরপর প্রতিপক্ষ কুদ্দুস ও ইউনুস গংরা বাদশা ফরজি গংদের জমি মেপে বুঝিয়ে দেয়।এবং আহতরা সেই জমিতে ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করে।হঠাৎ করে ৫ ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রতিপক্ষ ইউনুস ও কুদ্দুস গংরা বাদশা ফরাজি গংদের বসত ঘরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় ও লুটপাট চালায়।
পরবর্তীতে আহত বাদশা ফরাজী গংরা আদালতে মামলা দায়ের করে।আর এই পূর্ব শত্রুতার জেরে কুদ্দুস ফরাজি, ইউনুস ফরাজী, সিদ্দিক ফরাজী, রুহুল আমিন, বনি আমিন,ইয়াকুব, সোহাগ সহ অজ্ঞত ৩০-৩৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বকুল বেগম, মাসুরা বেগম, বাদশা ফরাজী, কোহিনুর বেগম ও বাদলকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয় রক্তাক্ত জখম করে।এ সময় প্রতিপক্ষ আহতদের মারধর করে টাকা পয়সা লুটপাট ও ঘর ভাঙচুর করে ট্রাকে করে তুলে নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে তুলাতুলি হাসপাতালে ভর্তি করে।পরে সেখানে আহতদের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরন করে।বর্তমানে আহতরা শেবাচিম চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।