নওগাঁর মান্দায় প্রতিবেশি নারীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে রানা হামিদ (৩৮) নামের এক বিজিবি সদস্যকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এর পর রাতভর তাকে বেঁধে রাখা হয়। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বড়পই পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গণপিটুনির শিকার রানা হামিদ উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বড়পই পূর্বপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেমের ছেলে। বিজিবির ল্যান্স কর্পোরাল পদে বান্দরবানে কর্মরত আছেন তিনি।
আজ সোমবার বেলা ১০টার দিকে মান্দা থানা পুলিশ বিজিবি সদস্যকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন। সংবাদ পেয়ে নওগাঁ বিজিবি ১৬ ব্যাটেলিয়ানের একটি টিম মান্দা হাসপাতাল থেকে রানা হামিদকে হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল রানা জানান, বিজিবি সদস্য রানা হামিদের সঙ্গে কুসুম্বা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলামের স্ত্রীর পরকীয়া সর্ম্পক নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা ছিল। রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রানা হামিদ ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। এ সময় ওই নারীর স্বামী শহিদুল ইসলাম স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বিজিবি সদস্য রানা হামিদকে আটক করেন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন তাকে গণপিটুনি দেন।
মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ওই নারীর স্বামী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে বিজিবি সদস্য রানা হামিদ পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমার শয়নঘরের পাশের একটি কক্ষে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলি। এ সময় ধস্তাধস্তিতে আমি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’
ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আমার স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্ত্রী না থাকায় পুলিশ এ বিষয়ে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত বিজিবি সদস্য রানা হামিদ পরকীয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এ ধরণের নাটক সাজানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি সদস্য রানা হামিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নওগাঁ #