শেবাচিমে চিকিৎসার টাকার অভাবে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে ৭ বছরের নেহা।বাবা থেকে রয়েছে না থাকার ভূমিকায়।টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না সাত বছরের নেহার।দুঃসময়ে বাবাকে কাছে পাওয়ার অকুল আবেদন সাত বছরের নেহার।
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক ওয়ার্ডের বেডে শুয়ে সাংবাদিকদের কাছে বাবাকে কাছে পাওয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছে সাত বছরের নেহা।এ বিষয় নেহার মা মুক্তা বেগম সাংবাদিকদের জানায় ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে নলছিটি থানাধীন মগর এলাকার আদম আলী বেপারির ছেলে লোকমান হোসেনের সাথে বিয়ে হয় মুক্তার।
বিয়ে তিন মাস পর স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে যায় লোকমান হোসেন।পরবর্তীতে পরিবারের চাপে পুনরায় আবার এসে স্ত্রীর সাথে সংসার করে লোকমান হোসেন। পরবর্তীতে মুক্তা গর্ভবতী হলে টাকা খরচের ভয়ে হঠাৎ চলে যায় লোকমান হোসেন।এরপর সন্তান প্রসবের তিন মাস পর পুনরায় পরিবারের সদস্যদের হাত পা ধর স্ত্রীর কাছে আসে লোকমান।
কিছুদিন থাকার পর বাচ্চা দুধ কেনার কথা বললে তা নিয়ে ঝগড়া বিবাধ করে আবার চলে যায় লোকমান।এভাবে আসা-যাওয়ার মধ্যে তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি সন্তান রয়েছে। মুক্তা বেগম আরো জানায়, বিয়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত তার স্বামী লোকমান হোসেন তার পরিবারের কোন খরচ বহন করছে না।
এ নিয়ে নলছিটি থানায় ও স্থানীয়দের মধ্যে একাধিকবার সালিশ মীমাংস হলেও লোকমান হোসেনের প্রতারণায় গৃহবধূ মুক্তা বেগম ধুকে ধুকে মরছে।বেশ কিছুদিন আগে তাদের সাত বছরের মেয়ে নেহা পড়ে গিয়ে পায়ে গুরুতর জখম হয়। এরপর থেকে শেবাচিমের অর্থপেডিক ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা রত অবস্থায় মুক্তা তার স্বামীকে ফোন দিয়ে সন্তানের ট্রিটমেন্ট খরচ চাইলে লোকমান হোসেন জানায় সন্তান মরে গেলেও কোন খরচ দিতে পারবে না।এরপর থেকে লোকমান হোসেন তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রেখেছে। এভাবে স্বামীর অবহেলায় বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে সাত বছরের নেহা।
এ বিষয়ে মুক্তি বেগমের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।