মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যক্রমে ভাটা পড়ে আছে। মাদক উদ্ধারে তেমন তৎপরতা নেই বললে চলে।
জানাযায়,২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে পুলিশের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়লে মাদক ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠে। চাঁদপুর জেলার শহর গ্রাম গঞ্জের আনাচে কানাচে সকল ধরনের মাদকে সয়লাব হয়ে পড়ে। এখন হাত বাড়ালে মাদক পাওয়া যায়। মাদকের সহজলভ্যতায় ভরপুর হয়ে গেছে চাঁদপুর।
আর এসব মাদক উদ্ধারে চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম ভাটা পড়ে আছে ।মাদক উদ্ধারে মাঝে মধ্যে অভিযান করলে ও তথ্যের ভিত্তিতে সোর্সের মাধ্যমে অভিযান করে থাকে । না হলে মাদক উদ্ধার কাজে তেমন সক্রিয় ভাবে কাজ করতে দেখা যায় নি।
বর্তমানে ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশ ও যৌথবাহিনী কতৃক মাদক উদ্ধার কার্যক্রম বেশি দেখা দিয়েছে।এর বিপরীতে অনেকটা হাত গুটিয়ে বসে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
একে এম দিদারুল আলম চাঁদপুরে এই অধিদপ্তরে
সহকারী পরিচালক পদে দায়িত্বে থাকাকালীন মাদক ব্যবসায়ীদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। প্রতিদিনই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করার সংবাদ পাওয়া যেতো। মাদক ব্যবসায়ীরা তাঁর ভয়ে আতঙ্কে থাকতো।
চাঁদপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম
বর্তমান সময়ের চেয়ে তখন গতিশীল ছিলো।বর্তমানে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের সংখ্যা বেশি হলেও সে তুলনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের
মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের তেমন আটক করতে দেখা যায় নি।
একটি সূত্র জানায়, চাঁদপুর জেলা শহর হতে শুরু করে গ্রাম গঞ্জে হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায়। এরা স্থানীয় প্রভাবশালী অথবা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মচারীর ছএছায়ায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। যার ফলে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কতৃক আগের তুলনায় মাদক উদ্ধার ও আটক করতে দেখা যায় নি।
আগে রাতের বেলা মাদক পাচার ও বেচাকেনা করা হলেও বর্তমান সময়ে দিন রাত ২৪ ঘন্টা এদের কার্যক্রম চলে। মাদকের টাকা সংগ্রহ করার জন্য ছোট খাটো চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এব্যাপারে জাকির হোসেন, হাবিব খান আলমগীর খান, কামরুল ইসলাম, শিমু জানান, চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আগে অনেক সক্রিয় ছিলো। নিয়মিত মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান থাকতো। আগে এতো মাদক ব্যবসায়ী ছিলো না।এখন মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। এখন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী বেশি আটক করে থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও যৌথবাহিনি । এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কথা একেবারে কম শোনা যায়। তাদের কার্যক্রমে ভাটা পড়ে গেছে বললে চলে ।
এব্যাপারে চাঁদপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের কার্যক্রম কোন ঝিমিয়ে পড়েনি। আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।