এম. মাসুম বিল্লাহ,ঝিনাইদহ ব্যুরো:-
ঝিনাইদহের ওজোপাডিকো নিয়ে স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগের শেষ নেই। এবার অভিযোগ উঠেছে লাইন ম্যান আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে এনালগ মিটার ও ট্রান্সমিটারের তামা পিতল চুরি করে ভাঙ্গারীর দোকানে বিক্রির।
দীর্ঘদিনের অনিয়ম দুর্নীতির আখড়ায় পরিনণত হয়েছে ঝিনাইদহের বিদ্যুৎ অফিস ওজোপাডিকো। তারই ফলাফলে হালিম চুরি করে মিটারের তামা ও পিতল, বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। অনুসন্ধানে জানা যায় চুরির মাল বিক্রি করা টাকার ভাগ পান বড় বড় কর্মকর্তারাও।
ঝিনাইদহ ইসলামি হসপিটালের সামনে মামুনের ভাঙ্গারীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আলফাজের কাছে চোরাই মাল বিক্রি করেন আব্দুল হালিম। এ বিষয়ে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী আলফাজ সাংবাদিকদের জানান, আব্দুল হালিম এই পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক মিটার ও ট্রান্সমিটারের যন্ত্রাংশ তার কাছে বিক্রি করেছে এমনকি আরো চোরাই মালামাল দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অগ্রিম ১৩ হাজার টাকা নিয়ে গেছে আব্দুল হালিম।
আলফাজ আরো জানান আব্দুল হালিম চোরাই মাল দেবার কথা বলে টাকা নিয়ে যাবার পরে অন্য ভাঙ্গারীতে মালামাল বিক্রি করলেও আমাকে আর মালামাল দিচ্ছে না সেই সাথে অগ্রিম টাকাটাও ফেরত দিচ্ছে না,আমি আমার টাকা ফেরত চাই।।
এছাড়াও স্থানীয় একাধিক গ্রাহক জানান লাইন ম্যান হালিম কোনো কাজে গেলে বিভিন্ন অজুহাতে গ্রাহকের কাছে টাকা দাবি করেন। বিদ্যুৎ অফিসের লাইন সহকারী হলেও বিভিন্ন স্থানে নিজেকে কর্মকর্তা হিসাবেও পরিচয় দেন এই আব্দুল হালিম।
ওজোপাডিকোর মালামাল চুরি করে বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে একাধিকবার আব্দুল হালিমের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, বন্ধ পাওয়া যায় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।
ওজোপাডিকোর পুরাতন মিটার ও ট্রান্সিমিটারের যন্ত্রাংশ চুরি করে বিক্রি করার বিষয়ে ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর এক্সেন এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় জনগণ,সেই সাথে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসাবে জরিমানা ধার্য করে কর্মক্ষেত্রে অসাধু হবার কারণে চাকরিচ্যুত করার আহ্বান করেন তারা।