উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১০ ব্লক -জি-৮ এর বাসিন্দা আব্দু রহিমের যত অপকর্ম ক্যাম্প জুড়ে রয়েছে বিশাল ইয়াবা সিন্ডিকেট।
রোহিঙ্গা আব্দু রহিমের ইয়াবা কারবারে রয়েছে ক্যাম্প ভিক্তিক শক্তিসালী সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটের সদস্যরা রাত বিরাত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছে দিচ্ছে মরণ নেশা এই ইয়াবার বড় বড় চালান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোহিঙ্গা বলেন,রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১০ থেকে কেজি, কেজি আইস,ইয়াবা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার হচ্ছে এই আব্দু রহিমের হাত দিয়ে ।
তার রয়েছে বিশাল এক ইয়াবা ও চোরাচালান বাহিনী। রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সাথে ইয়াবা ব্যবসা করে বর্তমান কোটি কোটি টাকার মালিক এই রোহিঙ্গা আব্দু রহিম।
প্রশাসনের সর্বচ্চো কর্তা-ব্যক্তিরা মাদক নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সভা সেমিনার করছেন। মাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন, জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন।
অপর দিকে মাদক কারবারিদের কর্মকান্ড তুলে ধরে সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করলেই যত দোষ। প্রতিহিংসার জ্বলে ওঠে মাদক কারবারি ও গড-ফাদাররা।
এদিকে পুলিশ, ডিবি, র্যাব সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছে এবং প্রচুর পরিমাণে মাদক উদ্ধার করলেও তারপরও থেমে নেই মাদক ব্যবসা। কেই প্রকাশ্যে আবার কেউ গোপনে চালাচ্ছে মাদক কারবার।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণকারীরা হাতে মাদক ধরেনা। যাবতীয় লেনদেন তারা তাদের লেবার এবং কর্মচারীদের দিয়ে করিয়ে থাকেন। ফলে তারা সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আর এ ভাবেই পর্দার আড়ালে থেকে মাদক নিয়ন্ত্রণকারিরা এবং মাদক রোহিঙ্গা মাফিয়ারা হয়ে উঠেছেন বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক। এরা এতই প্রভাবশালী যে, তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলবে এমন কাউকে টর্চ লাইট জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
এ প্রসঙ্গে রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারী আব্দু রহিমের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
এ প্রসঙ্গে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশ সবসময় তৎপর। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া অভিযান পরিচালনা করলে নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হতে পারে।