দীর্ঘ দেড় বছর পরিবারের সাৎে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর অপহৃত সন্তানকে ফিরে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন মাগুরার কৃষক বাদশা শেখ ও তার পরিবার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাগুরা ক্যাম্পের অনুসন্ধানী তৎপরতায় ফিরে পাওয়া এই সন্তান আরশাদুল একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণ।
আরশাদুল মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বড়ুরিয়া গ্রামের সন্তান। গত ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা গ্রামের লিটন শেখ তাকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে ফরিদপুরে নিয়ে যায়। সেখানে লিটন আরশাদকে নিজের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক মৎস্য খামারে চাকরি করায়। সেই চাকরির বেতনও লিটন নিজে ভোগ করে। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি, লিটন শেখ কোন এক সময় আরশাদকে মাগুরায় ফিরিয়ে এনে এক পোল্ট্রি ফার্মে কাজ দেয়। এরপর আরশাদের পরিচিত কেউ একজন আরশাদকে চিনে ফেলে এবং বিষয়টি তার বাবা-মায়ের কানে পৌছায় । পরে সন্তানকে খুঁজে পেতে আরশাদের পরিবার মাগুরা সেনা ক্যাম্পের সহযোগিতা কামনা করেন।
মাগুরা ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। অবশেষে, ০৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মাগুরা সদর উপজেলার কাদিরপাড়া এলাকা থেকে আরশাদকে উদ্ধার করে উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সন্তানকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত বাদশা শেখ ও তার স্ত্রী আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তারা মাগুরা সেনা ক্যাম্পের সদস্যদের প্রতি অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এদিকে আরশাদের পরিবার পারিবারিকভাবে হতদরিদ্র হওয়ায়, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে উক্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদানও প্রদান করা হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাগুরা অঞ্চলে সেনাবাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষেরা মাগুরা সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছেন।