পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা ও উন্নয়নে ঐতিহাসিক আয়োজন
গ্লোবাল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আয়োজনে ২০ জুলাই ২০২৫, রবিবার বিকাল ৫টায় কুয়াকাটা খান প্যালেস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য “ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল ও আইকনিক অ্যাওয়ার্ড–২০২৫”।
আয়োজনে “পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কুয়াকাটার সম্ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভা, ট্যুরিজম আইকনিক অ্যাওয়ার্ড প্রদান, বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল মূল আকর্ষণ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের মহাসচিব লায়ন সালাম মাহমুদ, এবং পুরো আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা।
প্রধান অতিাথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন।
বিশেষ অতিথিবৃন্দ হিসাবে উপস্থিত ছিলেন
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা,
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মোতালেব শরীফ।
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক প্রকৌশলী ইয়াসিন সাদেক – যিনি অনুষ্ঠানে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং কুয়াকাটার উন্নয়ন ও পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “এই শহর কেবল সাগরের নয়, ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিরও কেন্দ্র হতে পারে। এই সম্ভাবনা বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
স্বাগত বক্তব্য: হাফিজ রহমান, অর্থ সম্পাদক, গ্লোবাল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জামিউর রহমান লিমন, সিনিয়র সহ-সভাপতি
শুভেচ্ছা বক্তব্য: গোলাম ফারুক মজনু, অগ্রগামী মিডিয়া ভিশনের নির্বাহী পরিচালক,বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মো. সাইদ হাসান প্রমুখ।
“ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল ২০২৫” শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং পর্যটন শিল্প ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়, যা কুয়াকাটার বাস্তব চিত্র তুলে ধরে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় সংগীত শিল্পী ফেরদৌস আরা, চ্যানেল আই এর কনা রেজা এবং হেলাল খান সহগুণী ব্যক্তিত্বদের “ট্যুরিজম আইকন অ্যাওয়ার্ড–২০২৫” প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকার ও স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে।
বক্তারা কুয়াকাটাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরার জন্য সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এই আয়োজন শুধুমাত্র একটি উৎসব নয়, বরং বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত হয়।