১৪ মার্চ দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকায় “কক্সবাজারে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যুরোর পিইডিপি প্রকল্প—ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ১২ কোটি টাকা গিলে খেলো এনজিও স্কাস-সংযোগ বাংলাদেশ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কাল্পনিক তথ্যনির্ভর। সংযোগ বাংলাদেশ এই মিথ্যা সংবাদ এবং সম্মানহানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
সংবাদে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংযোগ বাংলাদেশ এর প্রধান নির্বাহী’র ছবি ও লোগো ব্যবহার করে সম্মানহানির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ব্যাত্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে জাতীয় পর্যায়ে সুপরিচিত একটি প্রতিষ্ঠান সংযোগ বাংলাদেশ এবং এর প্রধান নির্বাহীর ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুন্ন করতে এই মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ‘সেকেন্ড চান্স’ প্রকল্পের আওতায় সংযোগ বাংলাদেশ লীড এনজিও স্কাসের সহযোগী সংস্থা হিসেবে রামু উপজেলায় ৭০টি শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেছে। এই প্রকল্পটি সফলভাবে ডিসেম্বর ২০২৪-এ সম্পন্ন হয়েছে।
এই প্রকল্পটির শুরুতে শিক্ষার্থী নির্বাচন থেকে প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ লীড এনজিও স্কাস এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালকের কার্যালয় থেকে কঠোর মনিটরিং এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতি ছয়মাস অন্তর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত IVA কমিটির মাধ্যমে মনিটরিং এবং অগ্রগতি তদন্ত করে যার হালনাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন লীড এনজিও স্কাস এর মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া এই প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।
আমরা আরও উল্লেখ করতে চাই, সংযোগ বাংলাদেশ যথাযথ নিয়ম মেনে, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করে প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
প্রতিবার বিল ছাড় করার আগে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিবেদন, বেতন ভাতাদি পরিশোধের নথিপত্র লীড এনজিওর মাধ্যমে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালকের কার্যালয়ে জমাদানের পরে নিবিড়ভাবে যাচাই বাছাই করে, প্রতিটি কেন্দ্র সরাসরি পরিদর্শন করেই লীড এনজিও থেকে অর্থ ছাড় করা হয়েছে। সুতরাং এই প্রকল্পের কোন পর্যায়ে কোন সংস্থার পক্ষে নিজস্ব প্রভাব বিস্তার করার বা অর্থ আত্মসাৎ করার সুযোগ নেই।
এরকম একটি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক কিংবা পত্রিকা থেকে সংস্থার প্রধান নির্বাহীর ছবি প্রকাশ করার আগে অনুমতি গ্রহণ করেনি। এমন কি তথ্য যাচাইয়ের জন্য প্রধান নির্বাহী কিংবা সংস্থার দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তার কোন বক্তব্যও গ্রহন করা হয়নি। বরং উপজেলা ম্যানেজার এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য হিসেবে প্রচার বক্তব্যগুলোও সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ধরনের অসত্য বক্তব্য প্রচার সম্পূর্ণভাবে সাংবাদিকতার নীতিবিরুদ্ধ।
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে বিকৃত ও মিথ্যা তথ্য প্রচার এবং গুজব ছড়ানো নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকতার মতো মর্যাদাপূর্ণ পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সত্যতা যাচাই ছাড়া কোনো তথ্য প্রকাশ করা উচিত নয়।
যেখানে ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার সুযোগ অব্যাহত রাখার চেষ্টা চলছে, সেখানে প্রকল্প সমাপ্তির দুই মাস পর সংযোগ বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে কাল্পনিক তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ শুধু নিন্দনীয় নয়, বরং ঝরে পড়া শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত করার অপচেষ্টা।
ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে একটি প্রতিষ্ঠিত সংস্থার বিরুদ্ধে এবং স্বনামধন্য একজন ব্যক্তির ছবি ব্যবহার করে এরকম বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
আমাদের অনুরোধ, এই বিভ্রান্তিকর সংবাদে কেউ যেন বিভ্রান্ত হবেননা। আমরা আশা করবো, মূল ধারার সাংবাদিক ভাইয়েরা আরও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার থেকে বিরত থাকবেন।
প্রতিবাদকারী,মোঃ জসিম উদ্দিন পরিচালক,
সংযোগ বাংলাদেশ।